ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সু চির ছবি সরিয়ে নিলো অক্সফোর্ড

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সু চির ছবি সরিয়ে নিলো অক্সফোর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির একটি প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অক্সফোর্ড থেকে সম্মানসূচক একটি ডিগ্রি পাওয়ায় তার ছবি সেখানে রাখা হয়েছিল।

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বিষয়ে সু চির ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে শুক্রবার তার এই প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হলো। অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজ কর্তৃপক্ষ সু চির প্রতিকৃতির জায়গায় একটি জাপানি চিত্রকর্ম বসানোর কথা জানিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, সেন্ট হিউ কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী সু চির ওই প্রতিকৃতি কলেজটির মূল ভবনের প্রবেশদ্বারে ছিল। তবে ঠিক কী কারণে সু চির প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানাননি কর্তৃপক্ষ। কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেঞ্জামিন জোনস বলেছেন, সু চির প্রতিকৃতি একটি ‘নিরাপদ স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ব্যাপারে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া থেকে চেঞ্জ ডট অর্গে এই আবেদন জানানো হয়।

অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন সু চি। সু চি গৃহবন্দি হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয় অক্সফোর্ড। ওই ডিগ্রি তিনি গ্রহণ করেন মুক্তি পাওয়ার পর, ২০১২ সালে। তার স্বামী ড. মাইকেল অ্যারিস এক সময় ওই কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির সমালোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ‘ইউনিসন’ গত সপ্তাহে তাকে দেওয়া সম্মাননা স্থগিত করে। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের আন্দোলনের কারণে ইউনিসন ২০০৫ সালে সু চিকে ওই সম্মানসূচক সদস্যপদ দিয়েছিল।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইনে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে এ অভিযোগ করে পরদিন থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু করে। রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতন ও তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নিজেদের বাঁচাতে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, বিদ্রোহীদের দমনের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ করছে এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘ বলছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের 'জাতিগতভাবে নির্মূল' করছে মিয়ানমার।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনএ/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়