ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হালদা ও চামড়া শিল্পনগরীর দূষণ রোধের সিদ্ধান্ত

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হালদা ও চামড়া শিল্পনগরীর দূষণ রোধের সিদ্ধান্ত

টাস্কফোর্সের সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা

সচিবালয় প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের হালদা নদী এবং সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে নদীর দূষণ রোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৪তম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও টাস্কফোর্সের সভাপতি শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, সাভারে এ পর্যন্ত ৪৩টি বড় ধরনের ট্যানারি স্থানান্তরিত হয়েছে। নদীর তীরে ধর্মীয় স্থাপনার বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। নদী রক্ষার বিষয়ে গৃহিত কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে নিয়মিত পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হবে।

সভায় আরো জানানো হয়, নদীর সীমানা ও তীরভূমি নিয়ে জটিলতা নিরসনে জরিপ অধিদপ্তর থেকে নকশা তুলে জেলা প্রশাসকদের সরবরাহ করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের জন্য ২ হাজার ৫৮৬টি সিএস জরিপ ম্যাপ এবং ২ হাজার ৭৩টি আরএস জরিপ ম্যাপ সংগ্রহ করা হবে।

নদীবন্দর এলাকায় শক্ত আরসিসি সীমানা পিলার নির্মাণ/পুনঃনির্মাণের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ডিপিপি অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। ঢাকা শহরের চারপাশে ৫০ কিলোমিটার এলাকায় ৯ হাজার ৫০০টি আরসিসি পিলার পুনঃনির্মাণ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নদীবন্দর এলাকায় নদীর ফোরসোরের লিজ মানি (খাজনা নয়) বিআইডব্লিউটিএ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে নেওয়া যাবে না।

সভায় পুনঃজরিপের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নদীর দুই তীরে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমিতে স্থাপিত ১৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুনরায় উদ্ধারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

এ ছাড়া সভায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ রোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরির কমিটিতে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থাকে কো-অপট করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, এলজিআরডি মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালককে (প্রশাসন) সদস্য সচিব করে গত ৫ ডিসেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রথম সভা ২ ফেব্রুয়ারি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হাসান/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়