হোয়াটসঅ্যাপে ফুটবলারদের সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন জেমি ডে
জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে
বাংলাদেশ ফুটবল আঙ্গিনায় তিনি পরিচিত গতির জন্য। বলা হয়, বর্তমান স্কোয়াডে সবচেয়ে ক্ষিপ্র ফুটবলার তিনি। আলোচনার টেবিলে কিংবা মাঠের সবুজ ঘাসে তার নাম এলেই সবার আগে চোখে ভাসে গত বছর কম্বোডিয়ার বিপক্ষে সেই ভোঁ-দৌড়।
শুধু যে দৌড়াতে পারেন তা নয়, বলের উপর নিয়ন্ত্রণও বেশ। দুইয়ে মিলিয়ে তিনি দারুণ প্যাকেজ। তবে গতির জন্য আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন। বলা হচ্ছে জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের উইঙ্গার মাহবুবুর রহমান সুফিলের কথা।
জেমি ডের হাত ধরে জাতীয় দলে শুরু সুফিলের। করোনাকালে জাতীয় দলের হেড কোচের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সুফিল বিশ্বাস করেন জেমি ডের হাত ধরে সামনে আরো ভালো করবে বাংলাদেশ। করোনাকালে কোচকে পাশে পেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনলাইনে নিচ্ছেন প্রশিক্ষণ। তাতে এগিয়েছে তার ফুটবল।
আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে সুফিল বলেছেন,‘গত দুই বছর তার কোচিং সত্যিই ফলপ্রসূ ছিল। আমাদের সাথে তার খুব সহজেই বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। আমরা সত্যি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। মহামারির সময়েও তিনি হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের পাশে ছিলেন।আমাদের অসুবিধাগুলো তাকে জানাতে পারছি এবং তিনি আমাদের সাথে সেগুলো নিয়ে কাজও করছেন।’
পরিসংখ্যান জেমি ডের পক্ষেই কথা বলছে। ২০১৮ সালের ২১তম বিদেশি কোচ হিসেবে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। তার অধীনে ১৯ ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল। এর মধ্যে জিতেছে আটটি, ড্র করেছে দুইটি। বাকি নয়টিতেই হার। এছাড়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ ছিলেন ১১ ম্যাচে। সেখানে জিতেছেন তিন ম্যাচে, ড্র আছে দুইটি এবং হেরেছেন ছয়টিতে। বিদেশি কোচের পাশাপাশি স্থানীয় কোচরাও খেলোয়াড়দের উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখছেন বলে মনে করেন জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার।
‘বিদেশি কোচিং স্টাফদের সাথে দেশিয় কোচেরাও আমাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শক ও প্রদর্শক হিসেবে নিয়োজিত থাকেন। জেমির সকল কৌশল প্রায়োগিক ক্ষেত্রে কায়সার ভাইয়ের কঠিন ভূমিকা থাকে। সকল খেলোয়াড়দের সাথে তাদের বন্ধু সুলভ আচরণ এবং মাঠের বাইরেও ব্যক্তিগত সকল সমস্যায় তাদের অভিভাবকস্বরূপ আমরা পাশে পাই।’ – যোগ করেন সুফিল।
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন