ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

১৫ বছর পর সড়কের অবশিষ্টাংশের নির্মাণ শুরু

একে আজাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৫ বছর পর সড়কের অবশিষ্টাংশের নির্মাণ শুরু

বগুড়া প্রতিনিধি : অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১৫ বছর পর বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মধ্যকার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

২০০৩ সালে চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও শেষ আর হচ্ছিল না। সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে সড়কের  নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজ শেষ হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়ার পাশাপাশি কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারবে।

সড়ক ও জনপথের তথ্যমতে, ২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোট সরকারের সময় সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে অনুমোদন পায় পাঁচ বছর পর ২০০৮ সালে। অবশ্য ততদিনে অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত জমিতে বসতবাড়ি গড়ে ওঠে। এতে জমির বাজার দরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে সেই সময় বরাদ্দ দেওয়া টাকায় ওই সড়কের জন্য প্রয়োজনীয় ৬ দশমিক ৫৭ একর জমির পরিবর্তে মাত্র ১ দশমিক ৪৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়। বাদবাকি ৫ দশমিক ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত ১০ কোটি টাকা চেয়ে ২০০৯ সালের প্রথম দিকে নতুন করে সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) দাখিল করা হয়।

পরবর্তীতে একনেক থেকে ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যয় বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন পায়নি।

দীর্ঘ সময়েও প্রকল্পটি অনুমোদন না হওয়ায় স্থানীয় সওজ বিভাগ আগে অধিগ্রহণ করা ১ দশমিক ৪৪ একর ভূমিতে ৮১০ মিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকে।

দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়ায় আওয়ামী লীগের আয়োজিত এক জনসভায় সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি একনেক সভায় সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি বিধিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ তিনগুণ থাকায় ব্যয় আরো বাড়তে পারে অন্তত ১৫ কোটি টাকা। সময় মতো কাজ শুরু এবং শেষ না হওয়ায় সড়ক নির্মাণে ১১ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ব্যয় ১০৯ কোটি টাকা বেড়ে হচ্ছে ১২০ কোটি টাকা।

বগুড়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম জানান, ৩০ ফুট প্রশস্ত সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আড়াই বছর। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০০ মিটার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।



রাইজিংবিডি/বগুড়া/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এ কে আজাদ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়