ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২০১৯ সালে হারিয়ে গেছে যেসব প্রযুক্তি পণ্য

মোখলেছুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪১, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২০১৯ সালে হারিয়ে গেছে যেসব প্রযুক্তি পণ্য

শেষ হতে চলেছে আরো একটি বছর। প্রতি বছরের মতোই এ বছরও প্রযুক্তি দুনিয়া ঘটেছে অনেক উত্থান পতন। অনেকগুলো নতুন প্রযুক্তির দেখা মিলেছে। একইসাথে বন্ধও হয়ে গেছে বেশ কিছু প্রযুক্তি। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপ, স্টার্টআপ, পরিষেবা, ডিভাইস এবং বেশ কিছু জনপ্রিয় সাইট। ২০১৯ সালে হারিয়ে যাওয়া বেশ কিছু প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।

গুগল ক্রোমকাস্ট অডিও: ২০১৫ সালে চালু হওয়া ক্রোমকাস্ট অডিও হার্ডওয়্যার ডিভাইসটি এ বছরের শুরুর দিকে বাজারজাতকরণ বন্ধ করে দেয় গুগল। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যেকোনো ডিভাইস থেকে অডিও ইনপুট সহ স্পিকারে অডিও স্ট্রিম করতে পারত। তবে সময়ের সাথে সাথে অনেক বেশি ওয়্যারলেস স্পিকার বাজারে আসার ফলে ক্রোমকাস্ট অডিওর প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায় এবং গুগল জানুয়ারিতে এটি বন্ধ করে দেয়।

নরটন কোর: পিসি থেকে শুরু করে স্মার্ট ফ্রিজ সহ বাড়ির প্রতিটি ডিভাইস সুরক্ষার জন্য নিয়ন্ত্রণ বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি স্টাইলিশ রাউটার ছিল নরটন কোর। তবে এই গ্যাজেটটি বেশি দিন টিকতে পারেনি। সিমেনটেক এ বছরের গোড়ার দিকে নিশ্চিত করে যে, তারা নরটন কোর উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।

আমাজন ড্যাশ বাটনস: আমাজন ২০১৫ সালে এপ্রিল ফুলের ছুটির একদিন আগে প্রথম এই ড্যাশ বোতামটি চালু করেছিল। তবে পণ্যটি কোনো রসিকতা ছিল না। অনলাইনে কেনাকাটার প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য এই ধারণাটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে অ্যালেক্সা এবং আমাজন অ্যাপগুলোর উত্থানের সাথে সাথে একক পণ্য সমূহের জন্য পৃথক বোতাম রাখার ধারণাটি কম কার্যকর হয়ে যায় এবং আমাজন এটি বন্ধ করে দেয়।

কয়েনহাইভ: হ্যাকারদের মধ্যে জনপ্রিয় এই কুখ্যাত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং সার্ভিসটি ফেব্রুয়ারিতে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ এটি অর্থনৈতিকভাবে টেকসই ছিল না এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারটিও অস্থির হয়ে গিয়েছিল।

ফেসবুকের মুমেন্টস: এই স্বতন্ত্র সেবাটি তৈরি করা হয়েছিল বন্ধুত্বের ওপর ভিত্তি করে কারো ফোনে ধারণ করা ছবিগুলোকে একটি গ্রুপভুক্ত করার জন্য। ফেসিয়াল প্রযুক্তির সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই কাজটি করা হতো। ফলে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট বন্ধুদের এই ছবিগুলো সিঙ্ক করতে বলতে পারতেন এবং অন্যরাও এটি করছে বলে প্রত্যাশা করতেন। তবে ফেসবুকের এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের খুব বেশি আকর্ষণ করতে পারেনি। তাই ফেসবুক এটি বন্ধ করে দেয়।

স্যামসাং ব্লু-রে প্লেয়ার: স্যামসাং ফেব্রুয়ারিতে নিশ্চিত করে যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর নতুন ব্লু-রে বা ৪ কে ব্লু-রে প্লেয়ার মডেল প্রকাশ করবে না। এর পিছনে কোনো কারণ যদিও বলা হয়নি, তবে ম্যাশেবল তাদের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যে, স্যামসাংয়ের এই ডিভাইসটি ডলবি ভিশনকে সমর্থন করতো না।

অ্যাপল এয়ারপাওয়ার: অ্যাপল আইফোন এক্স-এর পাশাপাশি ২০১৭ সালের শেষ প্রান্তে এয়ারপাওয়ার এর ঘোষণা করেছিল। কোম্পানিটি সে সময় জানিয়েছিল যে, অ্যাপলের ডিজাইন করা নতুন এয়ারপাওয়ার ম্যাট একসাথে আইফোন, অ্যাপল ওয়াচ এবং এয়ারপড চার্জ করতে পারে। তবে এ বছরের মার্চে অ্যাপল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, তাদের এয়ারপাওয়ার উচ্চমান অর্জন করবে না এবং সেই কারণেই এই প্রকল্পটি তারা বন্ধ করে দেয়।

ফেসবুক ক্রিয়েটরস অ্যাপ: কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আরো গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করতে ২০১৭ সালে ফেসবুক একটি ক্রিয়েটরস অ্যাপ চালু করে। কিন্তু দুই বছর পরে ফেসবুক চুপচাপ এটিকে বন্ধ করে দেয়।

ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জার : স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে বেশি পরিচিত ব্ল্যাকবেরি একসময় ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জারের জন্যও পরিচিত ছিল। তবে ফেসবুক মেসেঞ্জার আর হোয়াটসঅ্যাপের যুগে ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জারকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। ফলে এ বছরের ৩১ মে থেকে এই জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপ বন্ধ দেয় ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষ।

গুগল স্পটলাইট স্টোরি: ভিআর স্টোরিটেলিং পরবর্তী প্রজন্মের সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তি হতে চলেছে। কিছু স্টুডিও এখনও তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। তবে গুগল এ বছরের শুরুতে তাদের স্পটলাইট স্টুডিওটি বন্ধ করে দেয়।

অ্যাডোবি শকওয়েভ: যদিও বিশেষ কোনো অবাক করার মতো পদক্ষেপ নয় এটি, তবে ৯ এপ্রিল অ্যাডোবি তাদের শকওয়েভ সফটওয়্যারটি বন্ধ করে দিয়ে উইন্ডোজের জন্য শকওয়েভ প্লেয়ার তৈরি করে।

অ্যানকি: অ্যানকি যা কিনা ভেক্টরের মতো সুন্দর এআই-চালিত রোবট তৈরি করেছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্টার্টআপটি তাদের কর্মীদের ছাঁটাই করে এবং পরিশেষে বন্ধ হয়ে যায় এই উদ্যোগটি।

মাইক্রোসফট ই-বুক স্টোর: মাইক্রোসফট গত এপ্রিল মাসে মাইক্রোসফট স্টোর থেকে ই-বুক বিভাগটি সরিয়ে নেয়।

ইয়োটা ফোন: কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোন নির্মাতা বেশ কয়েকটি কোম্পানি মোবাইল বাজার কাঁপানোর চেষ্টা করেছে। ইয়োটা ফোন একদিকে প্রচলিত টাচস্ক্রিন এবং অন্যদিকে ই-ইঙ্ক ডিসপ্লে সম্বলিত একটি ডুয়াল স্ক্রিন স্মার্টফোন তৈরি করার মাধ্যমে সে চেষ্টাই করেছিল। তবে একটি মামলায় জড়িয়ে রাশিয়াভিত্তিক কোম্পানিটি এ বছর বন্ধ হয়ে যায়।

ইনস্টাগ্রাম ডিরেক্ট: ইনস্টাগ্রামে বন্ধুদের সাথে ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করার মাধ্যম হিসেবে এই স্বতন্ত্র অ্যাপটি ২০১৩ সালে প্রথম আবির্ভূত হয়েছিল। তবে মূল অ্যাপটিতে ডিএম কার্যকারিতা যুক্ত হওয়ায় ইনস্টাগ্রাম ডিরেক্ট এর কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে এবং বিশেষত জনপ্রিয় হয়ে না উঠতে পারায় ইনস্টাগ্রাম এ বছরের শুরুতে এটি বন্ধ করে দেয়।

মুভিপাস: এক সময়ে ৩০ লাখ গ্রাহকের অধিকারী ও ছাড়ে সিনেমার টিকিট বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মুভিপাস এ বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মুভিপাস জানায়, এখন পর্যন্ত মুভিপাস সফল হতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান পাল্টানো হলেও সেগুলো সফল হয়নি। উপরন্তু ২০১৮ সালে দেওলিয়া হবার হাত থেকে বাঁচতে টাকা ধার করতে বাধ্য হয় কোম্পানিটি।

আমাজন স্পার্ক: আমাজন স্পার্ক ২০১৭ সালে পিন্টারেস্ট এর মতো শপিংয়ের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। এতে নির্দিষ্ট বিভাগ এবং লোকদের অনুসরণ করা যেত (এবং অবশ্যই জিনিস কেনা যেত)। তবে খুব বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে এ বছর চুপচাপ বন্ধ হয়ে যায় আমাজনের এই উদ্যোগটি।

গুগল-ব্র্যান্ডেড ট্যাবলেট: গুগল এই গ্রীষ্মে নিশ্চিত করেছে যে, প্রতিষ্ঠানটি আর স্ট্যান্ড-অ্যালোন ট্যাবলেট পিসি তৈরি করবে না (যেমন নেক্সাস ৭, পিকচার)। এর পরিবর্তে ল্যাপটপে ফোকাস করবে। কোম্পানিটি দাবি করেছে, গুগলের হার্ডওয়ার টিম সম্পূর্ণরূপে ল্যাপটপগুলো এগিয়ে যাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করবে।

গুগল ট্রিপস: গুগল ট্রিপস চালু হওয়ার প্রায় তিন বছর পরে এর সমাপ্তি ঘটে। এটি ছিল একটি ভ্রমণ অ্যাপ যার লক্ষ্য ছিল ব্যবহারকারীদেরকে তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনাগুলো আরো ভালোভাবে ট্র্যাক করতে সহায়তা করা। এটিকে ব্যক্তিগত ট্যুর গাইড হিসেবে ব্যবহার করা যেত। তবে কেউই এ জাতীয় আরেকটি গুগল অ্যাপ চায়নি। তাই এটি এ বছর বন্ধ হয়ে গেছে এবং এর কার্যকারিতার বেশিরভাগ অবশেষে গুগল ম্যাপস এবং সার্চ ফিচারে স্থানান্তরিত হয়েছে।

ফেসবুক গ্রুপ স্টোরিজ: ফেসবুক চাচ্ছে তাদের গ্রুপ স্টোরিগুলো যেন একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তাদের প্ল্যাটফর্মে আর না থাকে। তাই এ বছর সোশ্যাল সাইটটি গ্রুপ স্টোরি অ্যাপটি বন্ধ করে দেয়।

গুগল হায়ার: গুগল হায়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি রিক্রটিং অ্যাপ। এটি জিএমএল এবং গুগল ক্যালেন্ডারের মতো জি স্যুট অ্যাপগুলোর সাথে সংযুক্ত এবং এর মাধ্যমে প্রতিভা শনাক্তকরণ, প্রার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং দক্ষতার সাথে সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া শেষ করা যেত। তবে গুগল ক্লাউড পোর্টফোলিও এবং অন্যান্য পণ্যগুলোতে বেশি ফোকাস করার লক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি বন্ধ করে দেয়।

ইউটিউব মেসেজেস: দুই বছর আগে ইউটিউবে চ্যাটিং সেবা চালু করা হয়েছিল। তবে ইউটিউব মেসেজেস স্পষ্টতই সাইটের কমেন্ট বিভাগের মতো সফলতা পেতে ব্যর্থ হয়। তাই ইউটিউব মেসেজিং সেবাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ডাইসনের ইলেকট্রিক গাড়ি: স্যার জেমস ডাইসন বৈদ্যুতিক গাড়িটি নিয়ে দাবি করেছিল যে তাঁর কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার টিম একটি দুর্দান্ত ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করেছে। তবে এটি বাণিজ্যিকভাবে সফলতা পেতে ব্যর্থ হয়। তাই ডাইসন প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়।

গুগল ক্লিপস: এটি একটি অ্যাকশন ক্যামেরা-আকারের হার্ডওয়্যার ডিভাইস। গুগল ক্লিপস ২০১৭ সালে চালু হয়েছিল। গুগল ক্লিপস চারপাশের জিনিসগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যাপচার করতে এআই ব্যবহার করত। তবে বাস্তবে এই ছোট ক্যামেরাটি খারাপ রোবোটিক ইভেন্টের ফটোগ্রাফারের মতো অনুভূত হয়েছিল এবং গুগল এ বছর এটি বন্ধ করে দেয়।

গুগল ডেড্রিম ভিআর: গুগল ডেড্রিম চালু হওয়ার প্রায় তিন বছর পরে এ বছরের শুরুর দিকে বন্ধ হয়ে যায়। এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্মটি নির্দিষ্ট অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে কাজ করত। তবে খুব বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয় এই অ্যাপটি।

মাইক্রোসফট স্মার্টব্যান্ড অ্যাপ এবং সার্ভিস : দুই বছর আগেই স্মার্টব্যান্ড বিক্রি ও উৎপাদন বন্ধ করেছিল মাইক্রোসফট। কিন্তু এর আগেই যারা ফিটনেস ট্র্যাকারটি কিনেছিলেন তাদের সমর্থন দিতে মাইক্রোসফট হেলথ ড্যাশবোর্ড অ্যাপ এবং সার্ভিস চালিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে এ বছরের ৩১ মে থেকে ডিভাইসটি থেকে সব রকম সমর্থন তুলে নেয় মাইক্রোসফট।

রেড হাইড্রোজেন ফোন: সিনেমাটোগ্রাফি ক্যামেরা নির্মাতা আরইডি এর প্রতিষ্ঠাতা জিম জানার্ড অক্টোবরে অবসর গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং এর সাথে হাইড্রোজেনের সমাপ্তি ঘটে। গত বছর হাইড্রোজেন ওয়ান একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন হিসেবে চালু হয়েছিল।

ইয়াহু গ্রুপ: সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের যুগে এক সময়ের জনপ্রিয় এই পরিষেবাটির জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। ইয়াহু গ্রুপগুলোর প্যারেন্ট সংস্থা ভেরিজন এটি বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে ব্যবহারকারীদেরকে কন্টেন্ট ডাউনলোডের জন্য পর্যাপ্ত সময় না দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করার পরে ভেরিজন কন্টেন্ট মুছে ফেলার তারিখ ৩১ জানুয়ারির পর্যন্ত নির্ধারণ করে। সুতরাং আপনার পুরাতন চ্যাটগুলো পুনরুদ্ধার করার এখনও সময় আছে।

কর্টানা অ্যাপ: মাইক্রোসফট গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ এ অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে থেকে কর্টানা অ্যাপটি সরিয়ে নিবে। তবে সব দেশে তাত্ক্ষণিকভাবে কর্টানা অকার্যকর হয়ে যাবে না। আইওএস এর সিরি এবং অ্যান্ড্রয়েডের গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্যই এই ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে কর্টানা জনপ্রিয়তা পেতে ব্যর্থ হয়।

গুগল ক্লাউড প্রিন্ট: এই পরিষেবাটির মাধ্যমে দূরবর্তী ডিভাইস থেকে প্রিন্ট করা যেত। এমনকি যাত্রাপথে অফিসের প্রিন্টারে যেকোনো নথিও প্রেরণ করা যেত। তবে ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে এটি আর ব্যবহার করা যাবে না। গুগল এর পরিবর্তে গুগল নেটিভ প্রিন্টিং (সিইপিএস) ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে।

তোশিবা ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ: ২০১৮ সালে তোশিবা তাদের পিসি ব্যবসা জাপানের ডিসপ্লে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শার্পের কাছে বিক্রি করে দেয়। তাইওয়ানের হার্ডওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সকনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান শার্প। ২০১০ সালে শার্প পিসি ব্যবসা থেকে সরে এসেছিল। কিন্তু এ বছর থেকে শার্প আবার তোশিবার পিসি বিক্রি শুরু করেছে কিন্তু তা ‘তোশিবা’ নামে নয় বরং নতুন ‘ডাইনবুক’ নামে।

উইন্ডোজ ১০ মোবাইল সাপোর্ট: এ বছরের জানুয়ারিতে মাইক্রোসফট এক ঘোষণায় জানিয়েছে, যারা এখনো উইন্ডোজ মোবাইল প্ল্যাটফর্মের উইন্ডোজ ফোন ব্যবহার করছেন তারা আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে চলে যেতে পারেন। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এ বছরের ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে উইন্ডোজ ১০ মোবাইল প্ল্যাটফর্মে বিনা পয়সায় আর কোনো নিরাপত্তা আপডেটসহ সমর্থন দেওয়া হবে না। এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের বিকল্প খুঁজতে হবে।


ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়