ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৩.৬৬ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকিতে এনবিআরের মামলা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩.৬৬ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকিতে এনবিআরের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে মেসার্স এফএল প্যাকেজিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

এরই মধ্যে মামলাটি বন্ড কমিশনারেট, ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে  জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, রাজধানীর আশুলিয়া এলাকার মেসার্স এফএল প্যাকেজিং  বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। আমদানি করা ১ হাজার ৮২ টন পণ্যের মধ্যে আছে আর্ট কার্ড, ডুপ্লেক্স বোর্ড, মিডিয়াম পেপার, লাইনার পেপার, পিপি, বিএপিপি ও এডহেসিভ টেপ। এসবের দাম ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, গত ৭ জানুয়ারি  শুল্ক গোয়েন্দার দল রাজধানীর বকশীবাজার থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামাল (এলডিপিই) বোঝাই করা একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ট ১৩-২০৩৮) আটক করে। কাভার্ড ভ্যানটি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে কারখানা প্রাঙ্গণে না এনে খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান করছিল। গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষায় দেখা যায়, এগুলো মেসার্স এফএল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আশুলিয়া, সাভার ( বন্ড লাইসেন্স নং-৪৫৭/কাস-এসবিডব্লিউ/২০০৮) এর নামে আমদানিকৃত। পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা দল উক্ত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে গুদামে মজুদ করা কাঁচামাল জব্দ করে।

সূত্র জানায়, তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানটির সরেজমিনে প্রাপ্ত মজুদ কাঁচামালের পরিমাণ ও বন্ড রেজিস্টারের স্থিতির মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। পিভিসি শিট, পিপি, এডহেসিভ টেপের কোনো মজুদ পাওয়া যায়নি। অথচ বন্ড রেজিস্টার অনুযায়ী, এই আইটেমগুলো মজুদ থাকার কথা ছিল। গার্মেন্টসে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এক্সেসরিজ তৈরির কাঁচামাল আমদানি করতে প্রতিষ্ঠানটিকে শুল্কমুক্ত সুবিধার লাইসেন্স দেওয়া হয়। তবে কারখানা পরিদর্শনে দেখা যায়, এই লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের এই আচরণ দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ৯৭ ও ধারা ১৩(১), বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ এর বিধিসমূহ এবং বন্ড লাইসেন্সি কর্তৃক পালনীয় শর্তাবলীর ২ ও ৫ নং শর্তের সুস্পষ্ট লংঘন।  সরেজমিন পরিদর্শনে গরমিলপ্রাপ্ত টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫ হাজার টাকা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়