ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৬০ টাকার কমে সবজি নেই চট্টগ্রামের বাজারে

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৬০ টাকার কমে সবজি নেই চট্টগ্রামের বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সবজি যেন চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ৬০ টাকা কেজি দরের নিচে কোনো সবজিই  এখানকার বাজারে মিলছে না। শাকের আঁটিও মিলছে না ৩০/৪০ টাকার নিচে।

প্রতিদিনের খাবারে ন্যূনতম সবজি যাদের আবশ্যিক এমন নিম্নআয়ের পরিবারগুলো রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছে। শুক্রবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমনই উচ্চমূল্য দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, অতিবর্ষণ আর বন্যায় বাজারে সবজির সরবরাহ ঘাটতির কারণে মূল্য অতিরিক্ত।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, ‘আমরা তো অসহায়। যেখানে এককেজি সবজি কিনতে হয়, সেখানে ৫০০ গ্রাম কিনে পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে।’

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দার হাট কাঁচাবাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ভেদে কিছু সবজির মূল্যের তারতম্য থাকলেও মূলত ৬০/৭০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, শসা, বরবটি, করলা, পটল, কচুর লতি।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাইরে বহদ্দারহাট, কাজীর দেউরি, কর্ণফুলী মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি সবজি রিয়াজউদ্দিন বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে শসা, বরবটি, করলা, কচুর লতির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। তবে সবজির মধ্যে আলু , মিষ্টি কুমড়া কিছুটা ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার মূল্য প্রতি কেজি ৩০ টাকা।   

এ দিকে সবজির পাশাপাশি মাছ-মাংসের বাজারেও রীতিমত আগুন। প্রতিকেজি গরুর মাংস এবং হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে। খাসির মাংসের মূল্য ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।

বাজারে লইট্ট্যা ছাড়া ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ মিলছে না।ইলিশ  ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, লাল কোরাল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কৈ  ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, রূপচাঁদা বড় ৯০০ টাকা ও ছোট ৮০০ টাকা,  বাগদা চিংড়ি  ৬০০ টাকা, লইট্ট্যা ১৫০ টাকা, কাতলা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী আনোয়ার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বন্যা ও অতিবর্ষণের কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে সবজির মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’ একই রকম বক্তব্য সব সবজি বিক্রেতার।

নগরীর বহদ্দার হাট বাজারে বাজার করতে আসা গার্মেন্টস কর্মি শাহাবুদ্দিন রাইজিংবিডিকে জানান, এখন সবজি খেয়েও পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা মুশকিল। যেখানে এককেজি সবজি প্রয়োজন সেখানে ৫০০ গ্রাম কিনতে বাধ্য হচ্ছি। সবজির যে মূল্য তাতে ৫০০ টাকার সবজি কিনেও পরিবারে দুই দিন চলছে না। এই অবস্থায় আমরা রীতিমত অসহায়।

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২ আগস্ট ২০১৯/রেজাউল/হাকিম মাহি/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়