কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ভেসে উঠলো ইতোপূর্বে বালি চাপা দেওয়া তিমির মৃতদেহ।
এই তিমিটি গত ১০ এপ্রিল মৃত অবস্থায় সৈকতে ভেসে আসে। বালি সরে গিয়ে তিমিটি দৃশ্যমান হওয়ার পর আরেকটি মৃত তিমি ভেসে আসার খবর স্থানীয়ভাবে প্রচার হয়।
রোববার (২ মে) দুপুরে জোয়ারের পানিতে ভেসে ওঠে বালি চাপা দেওয়া তিমিটি। পরে সেটি স্থানীয়দের নজরে আসে। জোয়ারে পানি কমে গেলে মৃত তিমি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়। তবে তিমির লেজ ও মাথার অংশ পঁচে গিয়ে একেবারে বিচ্ছিন্ন দেখতে পায় স্থানীয়রা। এটি ইতিপূর্বে ভেসে আসা দুটি তিমির চেয়ে আকারে ছোট মনে হয়। আশপাশের এলাকায় উৎকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আরেকটি মৃত তিমি ভেসে আসার খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।
তখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা দেখতে পান, ২২ দিন আগে সৈকতে বালি চাপা দেওয়া তিমিই এটি। জোয়ারের পানিতে বালি সরে যাওয়ায় সেটি দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। পরে এটি এক্সেভেটর দিয়ে বালি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল দুটি মৃত তিমি ভেসে আসে। যার মধ্যে একটি ভেসে এসেছিল দরিয়া নগর পয়েন্টে। আরেকটি হিমছড়ি পয়েন্টে। পরে দুটি তিমিই মাটি চাপা দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েক দিন পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে গত ১০ এপ্রিল হিমছড়ি পয়েন্টে যে তিমিটি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল, সেটির মাটি সরে গিয়ে পুনরায় ভেসে ওঠে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এখন ঘটনাস্থলে আরও গভীর গর্ত করে ভেসে ওঠা তিমিটি পুনরায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এটি কোনো নতুন তিমি নয়।
গত ৯ ও ১০ এপ্রিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে দুটি মৃত তিমি। পরে সংশ্লিষ্টরা সেগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। এখনো প্রতিবেদন হাতে না আসায় তিমিগুলোর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।