পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারাবন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত শুনানি শেষে মামলার আবেদন খারিজ করে দেন।
আটকে রেখে নির্যাতন ও ফেনী কারাগারে কক্ষ তল্লাশির অভিযোগ এনে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন মিতু হত্যার আসামি ও সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। বাবুল আক্তারের পক্ষে আদালতে মামলার আবেদন করেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর থেকে বাবুল আক্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিলো।
ওই অভিযোগে বলা হয়- ২০২১ সালের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে বাবুল আক্তারের ওপর নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবী।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে মিতুর বাবা বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।