বেতন বাড়ানোর দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো রোববার (২৯ অক্টোবর) গাজীপুরে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুর করেছে। একই সঙ্গে তারা সড়কে টায়ার জ্বালানোর পাশাপাশি একটি পিকআপ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গত সোমবার থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। এরপর দিন যতো যাচ্ছে শ্রমিকরা ততোই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকালে মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সকাল ১১ টার দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ। স্টান্ডান্ড কারখানা ও কোনাবাড়ি বিসিকের শ্রমিকরা লাঠি নিয়ে আন্দোলন করতে শুরু করেন সেখানে। তারা মহাসড়কে টায়ার রেখে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করেই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এছাড়া, আজ দুপুরে মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তারা একটি কারখানায় ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশের সঙ্গে থেমে থেমে চলে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একই অবস্থা মহানগরীর ভোগরা ও রওশন সড়ক এলাকায়। সেখানেও বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, আজকেও শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। তারা মহাসড়কে টায়ার রেখে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।