টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) সকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে। এতে অংশ নেন লাখ লাখ মুসল্লি।
রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর কিছু সময় নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
ইজতেমায় যোগ দিতে সকাল হতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন মুসল্লিরা। লাখো মুসুল্লিতে মহাসড়ক মিলে যায় ইজতেমা মাঠের মহাসমাবেশের সঙ্গে। পথেই খবরের কাগজ, পলিথিন, সঙ্গে আনা পাটি, জায়নামাজ বিছিয়ে বসেন তারা।
ইজতেমার মাঠকে কেন্দ্র করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের তিন-চার কিলোমিটার পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। তুরাগ নদের পাড় দিয়ে মোনাজাতের অপেক্ষায় ছিলেন মুসল্লিরা। ভরে গিয়েছিল আশপাশের দোকান, কারখানা, অফিস ও ঘরবাড়ির ছাদ। আখেরি মোনাজাতের জন্য টঙ্গীর আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ অনেক অফিসে ছিল ছুটি। ভিড় ঠেলে অনেক নারীও আসেন টঙ্গী এলাকায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে।
আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি প্রার্থনা করেন। ২২ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাতে দুই হাত তুলে মুসল্লিরা বারবার বলছিলেন, ‘আমিন আমিন’।
আগামী ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।