মাত্র ১১ দিনের জন্য অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু তার মিশন থেমে যায় ৯ দিনের মাথায়। রোববার হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হাসান মাহমুদের বল তার বাম হাতের তর্জনীতে আঘাত করে। ম্যাচ শেষে এক্স-রে পরীক্ষায় তাতে চিড় ধরা পড়ে। ফলাফল— তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে সোহান।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে তার কাঁধে ছিল জাতীয় দলের নেতৃত্ব। স্বল্প সময়ে মিশ্র অনুভূতি পেয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে দল হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। জয় পাওয়া ম্যাচে সোহানকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তবে প্রথম ম্যাচে তার বিস্ফোরক ইনিংস দোলা দিয়েছে অনেকের মনে। ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যেখানে চার ছিল ১টি, ছক্কা ৪টি।
সোহানের এমন ইনিংস মনে দাগ কেটেছে বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডেরও। তার ব্যাটিং পাওয়ার ও কম্পোজার সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে মিস করবেন ডোনাল্ড। সঙ্গে অধিনায়কত্বও রয়েছে। সোমবার হারারেতে শিষ্যকে প্রশংসায় ভাসিয়ে ডোনাল্ড বলেছেন, ‘তার সঙ্গে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে দেখা হয়েছিল। তার আঙুল স্প্লিন্ট দিয়ে বাঁধা ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সতর্কতার জন্য এটা ব্যবহার করেছে কিনা— ও বললো, ‘নাহ। দুর্ভাগ্যজনক একটা চিড় ধরা পড়েছে।’
‘তার জন্য খারাপ লাগছে। এই মুহূর্তে দারুণ ক্রিকেট খেলছিল সে। বলগুলোকে ভালো মারছিল, কিপিং দারুণ করছিল। অধিনায়ক হিসেবে দুই ম্যাচে সে তার ছাপ রেখেছে। এমনভাবে নিজের নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নিয়েছে মনে হয়েছে, এর আগে ২০ বা ৩০ ম্যাচে সে অধিনায়ক ছিল। তাকে মিস করবো। তিন সপ্তাহের জন্য মাঠে বাইরে সে। আশা করছি তাকে এশিয়া কাপে ফিরে পাবো।’
সোহানের আগ্রাসী ব্যাটিং ও শক্তি নিয়ে ডোনাল্ড যোগ করেন, ‘প্রথম ম্যাচে সে দেখিয়েছে, একাই আমাদেরকে জেতাতে পারে। নিশ্চিতভাবে ইনিংসের শেষ ভাগে আমরা তার ব্যাটিং শক্তি ও কম্পোজার মিস করবো। এটা নিশ্চিতভাবে অন্যদের জন্য সুযোগ। আমাদের সঙ্গে লিটন আছে। সে কিপিংয়েও ভালো। তবে যখন ফিনিশিংয়ের কথা আসছে, অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।’