খুলনায় ঘূর্নিঝড় সিত্রাং-এর কারণে ১ হাজার ৬০০টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের প্রাথমকি সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা, ৩০ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১ হাজার ৬০০টি ঘর ভেঙেছে। এই ঘরগুলো আংশিক ক্ষতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলার মৎস্য ও কৃষি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুবই কম। স্ব স্ব দপ্তর সেগুলি নির্ণয় করছে। পূর্নাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লেগে যাবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ঝড়ের সময়ে উপকূলীয় কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার প্রতি বেশি নজর রাখা হয়েছিল। খুলনাতে কোনো প্রানহানির খবর পাওয়া যায়নি।’
এদিকে ঝড়ে খুলনা জেলায় জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় মৎস্য ও কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি খুবই কম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে।