আইন ও অপরাধ

তিন বছরের সাজা হতে পারে আল-আমিনের

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধরের মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

রোববার (৫ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। নারী ও শিশু নির্যাতম আইনের ১১ (গ) ধারায় আল আমিনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আল-আমিনের সর্বোচ্চ ৩  বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরাত জাহানের আইনজীবী শামসুজ্জামান।

তিনি বলেন, দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে, তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা বহু চেষ্টা করেছি সংসারটা যেন টিকে। কিন্তু আল-আমিনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সন্তানদের খোঁজ-খবর নেয় না। আজ নারী ও শিশু নির্যাতম আইনের ১১ (গ) ধারায় আল আমিনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আল-আমিনের সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড হতে পারে। আর তার যেন সর্বোচ্চ সাজা হয় আমরা সে চেষ্টা করে যাবো।

এদিন আল-আমিনের জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়। জামিন বাতিলের বিষয়ে শামসুজ্জামান বলেন, মামলা তদন্তাধীন থাকা পর্যন্ত আল-আমিন জামিনে ছিলেন। মামলার চার্জশিট এসেছে। স্ট্রেজ পরিবর্তন হয়েছে। বিচার শুরু হয়েছে। তিনি জামিনে মুক্ত হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। এজন্য তাকে কারাগারে আটক রেখে সাক্ষী হাজির করে মামলা শেষ করতে আমরা আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে আল-আমিনের জামিন কেন বাতিল হবে মর্মে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন।