লর্ডসে এর আগে কেউ ৩৪২ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি। সেখানে জিততে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭১ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনে ৪৫ রানেই স্বাগতিকরা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। সেখান থেকে ইংলিশরা ঘুরে দাঁড়াবে এবং ৩২৭ রান পর্যন্ত গিয়ে ৪৩ রানে হার মানবে সেটা হয়তো কেউ কল্পনা করেননি।
কিন্তু ক্রিজে বেন ডাকেট ও বেন স্টোকস থাকায় পঞ্চম ও শেষ দিনে কিছুটা লড়াই আশা করেছিলেন ভক্ত-সর্থকরা। কিন্তু বেন স্টোকস যা করেছেন সেটা এক কথায় মহাকাব্যিক। কুর্নিশ করার মতো।
আগের দিন ৫০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা ডাকেট দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় আউট হন ব্যক্তিগত ৮৩ রানে। এরপর ১৯৩ রানে জনি বেয়ারস্টোর উইকেট হারালেও স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে দারুণ লড়াই করেন অধিনায়ক স্টোকস।
৯৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন স্টোকস। এরপর ক্যামেরন গ্রিনের এক ওভারে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৪ রান তুলে পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি। তাও ১৪২ বলে। এরপর ১৯৭ বল খেলে ৯টি চার ও ৯ ছক্কায় ১৫০ রানও পেরিয়ে যান।
তিনি যতোক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততোক্ষণ মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড জিতে যাবে। যেভাবে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু দলীয় ৩০১ রানের মাথায় জস হ্যাজলেউডের বলে উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন স্টোকস। তাতে অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসে লড়াইয়ে। যাওয়ার আগে ২১৪ বলে ৯ চার ও ৯ ছক্কায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫৫ রানের ইনিংস খেলে যান।
এরপর ৩০২ রানের মাথায় অলি রবিনসন, একই রানের মাথায় স্টুয়ার্ট ব্রড ও ৩২৭ রানে জশ টাং আউট হলে যবনিকাপাত ঘটে ইংল্যান্ডের ইনিংসের। আর অস্ট্রেলিয়া জিতে যায় ৪৩ রানে।
এই জয়ে অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ক্যাঙ্গারুরা। প্রথম ম্যাচ ২ উইকেটে জিতেছিল তারা।