ভারতের জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার হারমানপ্রীত কৌরকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বার্তায় হারমানপ্রীতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানায় সংস্থাটি।
লেভেল-২ ধারার অপরাধ (আইসিসির আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী) করায় তাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তার ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানাও করা হয়েছে। সঙ্গে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। আর লেভেল-১ ধারার অপরাধ করায় ম্যাচ ফি-এর আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
অর্থাৎ আউট হওয়ার পর ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙায় তাকে ৫০ শতাংশ ও ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর সময় আম্পায়ারদের সমালোচনায় করায় ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
লেভেল-২ ধারার অপরাধের জন্য ম্যাচ ফি’র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। সঙ্গে তিন থেকে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। অন্যদিকে লেভেল-১ ধারার অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে ভৎসনা করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। এবং একটি অথবা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
আগামী ২৪ মাসের মধ্যে সব মিলিয়ে তার নামের পাশে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হলে আরও দুই ম্যাচ ওয়ানডে/টি-টোয়েন্টি অথবা একটি টেস্ট ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন।
ভারতের এই নারী ক্রিকেটার আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা মেনে নেওয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি ভারতের হয়ে আসন্ন এশিয়ান গেমসের নকআউট পর্বের দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর ক্ষোভে ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙেন হারমানপ্রীতি। ক্রিজ ছেড়ে যাওয়ার সময় আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে আঙ্গুল উঁচিয়ে কি যেন বলতে বলতে যান। এছাড়া ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে মাঠে উপস্থিত বাংলাদেশি দর্শকদের থাম্পস আপ দেখান।
এরপর পুরস্কার বিতরণীর সময় প্রকাশ্যে আম্পায়ারদের কড়া সমালোচনা করেন। এখানেই শেষ নয়, ট্রফি হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দুই আম্পায়ারকেও মঞ্চে আসতে বলেন তিনি। কারণ, তার মতে বাংলাদেশ আম্পায়ারদের বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণেই জিতেছে। তাদের বদান্যতায় জিতেছে।
অবশ্য হারমানপ্রীতির এমন আচরণে যারপরনাই বিব্রত হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। তারাও তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পারে।