আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে মেজর লিগ সকারের (এলএমএস) দলটি। কয়েকদিন আগে লিগস কাপের শিরোপা জেতার পর এবার আরেকটি শিরোপার মঞ্চে পৌঁছে গেছে তারা। ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে ৩-৩ গোলে ম্যাচ সমতা থাকার পর সিনাসিনাটিকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে টাটা মার্টিনোর দল।
মেসি আসার পর থেকেই বদলে গেছে মায়ামির ড্রেসিং রুমের পরিবেশ। সেটা এমনই যে, আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে পুরো দল। সেমিফাইনালে সেটাই দেখা গেল আরেকবার। মেসি গোল না পেলেও সতীর্থরা ঠিকই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে খানিকটা অচেনা লাগছিল মায়ামিকে। এই সুযোগে বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় যুক্তরাষ্ট্রের লিগের সেরা দল সিনসিনাটি। তবে মায়ামির মজবুত রক্ষণের কাছে বারবারই বাধাগ্রস্ত হয় তারা। কিন্তু ১৮ মিনিটে আর আটকে রাখা গেল না।অ্যারন বুপেনজার পাসে বাম পায়ের দারুণ এক গোলে সিনসিনাটিকে এগিয়ে নেন অ্যাকোস্টা।
গোল খেয়ে কিছুটা যেন এলোমেলো হয়ে যায় মায়ামি। এর মধ্যে আবার হলুদ কার্ড দেখেন জর্দি আলবা। তাতে প্রথমার্ধে কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মায়ামিকে ভয় ধরিয়ে আবারো এগিয়ে যায় সিনসিনাটি। এবার গোলদাতা ব্রেন্ডন বাজকেজ। দুই গোল খেয়ে হুশ ফিরে মায়ামির। এতোক্ষণ চুপসে থাকা দলটি নতুন করে জেগে ওঠে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ব্যবধান কমান মায়ামির লিওনার্দো ক্যাম্পানা।
গোল পেয়েই আরেকটূ আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে মায়ামি। ভাগ্য তাদের হয়ে কথা বলে ম্যাচের যোগ করা সময়ে। ৯৭ মিনিটে দৃশ্যপটে আবারো ক্যাম্পানা, আবারো গোল এবং মায়ামির সমতায় ফেরা। ২-২ গোলে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিটের মাথায় মায়ামির বাজিমাত। ব্যবধান ৩-২ করেন জোসেফ মার্টিনেজ। তবে তখনো থ্রিলারের শেষটা বাকি। মায়ামি এগিয়ে যাওয়ার ১১ মিনিটের মাথায় গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সিনসিনাটির আলভারো ভ্যারিয়েল।
অতিরিক্ত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুটআউটে মায়ামির হয়ে পাঁচজনই গোল করলেও ব্যর্থ হন সিনসিনাটির নিক হাগল্যান্ড। আর তাতেই আরেকবার ফাইনালের মঞ্চে পা রাখে ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন দলটি।