চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের পেছনে অনেকেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন। এই কাতারে আছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শোয়েব মালিকও। মালিকের মতে, বাংলাদেশের এই ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ মিরপুরের মাঠ।
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশের দূর্ভেদ্য ঘাটি। বিশ্বের যেকোনো দলের জন্যই মিরপুর আতঙ্কের নাম। কারণ এই মাঠে উইকেটে স্পিনাররাই রাজা। তাতে ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারে না কোনো দলই। এটাই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের জন্য দায়ী বলে মনে করেন মালিক।
গতকাল ম্যাচশেষে পাকিস্তানি চ্যানেলের ‘এ স্পোর্টস’- এর ক্রিকেট শো’তে উপস্থিত হয়ে মালিক বলেন, ‘বাংলাদেশ যে সিরিজগুলো জিতেছে, সব কটিই ছিল লো স্কোরিং। তাদের স্পিনারদের পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টা নজরে আসে। এই ঘটনা কিন্তু আমাদের সঙ্গেও হয়েছিল।’
‘একসময় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে শুধু পেস সহায়ক উইকেট বানানো হতো। তাতে ১৪০-এর বেশি গতিতে বোলিং করা পেসার আসা কমে গিয়েছিল। স্পিনাররাও কম আসতে শুরু করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমন। তাদের মিরপুরে রান করা মোটেই সহজ নয়।’ – যোগ করেন মালিক।
আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন আরও দুই সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ও মিসবাহ উল হক। আকরাম লিটনের আউট নিয়ে সমালোচনা করেছেন। গতকাল ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন লিটন। নিউ জিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের ইনসুইংয়ে ফ্লিক শটে ধরা পড়েন ম্যাট হেনরির হাতে।
এই আউট নিয়ে পাকিস্তান কিংবদন্তি আকরামের ভাষ্য, ‘লিটন দাস অনেক দিন ধরে খেলছে। সে এখন আর তরুণ নয়। বুঝতে পারলাম, বলটা বাজে ছিল। ন্যাচারালি শটটা চলে এসেছে। তবে এটা ৫০ ওভারের ম্যাচ। ফাইন লেগ পেছনে থাকলে সিঙ্গেল নাও। এসব কি আমাদের বলতে হবে?’
পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ বাংলাদেশের ব্যাটিং সম্পর্কে তার সেই চিরচেনা কথাই বলেছেন, ‘দায়িত্ব নিতে হবে। ৩০-৪০ করলে আপনার দল জিতবে না। টপ অর্ডারের চারজনের থেকে সেঞ্চুরি আসতে হবে, সেটা হচ্ছে না। এটাই বাংলাদেশের সমস্যা।’