চলমান বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। তবে সুযোগ রয়েছে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা হারায় সেই সুযোগ আরেকটু বেড়ে গেল সাকিব আল হাসানের দলের। তবে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত না। সমীকরণের খেলায়ও জিততে হবে বাংলাদেশকে।
আগেই জানা গিয়েছিল, এবারের বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে থাকা শীর্ষ আট দল ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে। এর মধ্যেই ৭টি দল পাকিস্তানের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে। তারা হলো ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড।
এখন লড়াই শেষ জায়গাটি নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে কার্যত শেষ হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার আশা। এ মুহূর্তে তারা আছে পয়েন্ট তালিকার নয় নম্বরে। ফলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে অনেকটাই। বাংলাদেশের সামনে এখন খুব সহজ সমীকরণ, যদি লিটন-শান্তরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।
আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে জিততে পারলে, কোনো ধরনেই যদি-কিন্তু ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। আর যদি হারেও তাহলে বড় ব্যবধানে না হারলে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম দল হিসেবে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টটিতে খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা। অবশ্য নেদারল্যান্ডসের হার কামনা করতে হবে বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে নেট রানরেটের হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের -১.১৪২। আর শ্রীলঙ্কার -১.৪১৯। পয়েন্ট টেবিলের দশম স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের নেট রাননেট -১.৬৩৫। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কম ব্যবধানে হারলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ থাকছে টাইগারদের।
এদিকে আবার বাংলাদেশের হাতে সমীকরণ দুটি। প্রথমত, অস্ট্রেলিয়ার যদি আগে ব্যাটিং করে ৩৬০ রান করে তাহলে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২০০ রান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ যদি আগে ব্যাটিং করে ২০০ রান করে তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে কমপক্ষে ২৩ ওভার খেলাতে হবে।
এদিকে নেদারল্যান্ডসের জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা এখন বেশ কঠিন। ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের যেকোনো একটি দল নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলে ভারতকে বিশাল ব্যবধানে হারাতে হবে ডাচদের। ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ হারলেও নেট রানরেটে বিশাল একটা লাফই দিতে হবে তাদের। যা অসম্ভব।