খেলাধুলা

দুই মিনিটের দুই গোলে লিভারপুলের তিন পয়েন্ট

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মানেই লড়াইয়ের পরতে পরতে উত্তেজনার পারদের ওঠানামা। একের পর এক চোখধাঁধানো গোল আর রোমাঞ্চে ভরপুরের ম্যাচে সেটা আরেকবার দেখিয়ে দিল লিভারপুল ও ফুলহ্যাম। রোববার (৩ ডিসেম্বর) অ্যানফিল্ডে জমজমাট ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতেছে লিভারপুল। 

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে যেতে থাকে লিভারপুল। ফলও পায় হাতেনাতে। ম্যাচের ২০তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের নেওয়া ফ্রি-কিক ক্রসবারে চুমো খেয়ে ফুলহ্যাম গোলরক্ষক বার্নড লেনোর গায়ে লেগে জালে জড়ায়। 

যদিও পাল্টা আক্রমণে চার মিনিট বাদেই ম্যাচে ফিরে ফুলহ্যাম। দারুণ এক গোলে সমতা টানেন হ্যারি উইলসন। তবে সমতায় ফিরেও স্বস্তিতে থাকতে পারেনি তারা। ৩৮তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে ফের লিভারপুলকে লিড এনে দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডার আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। 

এগিয়ে থেকে যখন বিরতিতে যাওয়ার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছে লিভারপুল। ঠিক তখনি আবার আক্রমণ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে ক্ষীর বানিয়ে ফেলে ফুলহ্যাম। স্কোরলাইন ২-২ করেন কেনি টেটে। সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমানে আক্রমণ করতে থাকে দুই দল। তাতে কেউ কাউকে নাহি ছাড়ি অবস্থা। পুরো ম্যাচে তখন বারুদের উত্তাপ। এভাবেই কেটে গেল ৭৯ মিনিট। ঠিক এক মিনিট পর লিভারপুল সমর্থকদের গর্জন পানসে করে দেন জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড ববি ডি করডোভা-রেইড। ৮০তম মিনিটে ফুলহ্যামকে এগিয়ে নেন তিনি।

ম্যাচের তখন বাকি আর ১০ মিনিট। এদিকে গোল পেয়ে নিজেদের রক্ষণ আগলে খেলতে থাকে ফুলহ্যাম। জয়ের ঘ্রাণ তখন ছড়িয়ে পড়েছে তাদের ডাগআউটে। তবে ম্যাচের নাটকীয়তার যে তখনও অনেক বাকি। এরপর দুই মিনিটের ঝড়ে ফুলহ্যামের জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দেয় লিভারপুল। 

দুর্দান্ত এক গোলে ৮৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান জাপানিজ ফরোয়ার্ড ওয়াটারু এন্দো। প্রিমিয়ার লিগে এই জাপানি মিডফিল্ডার প্রথম গোল পেলেন। পরের মিনিটেই ডান পায়ের শটে ফুলহ্যামের জালে বল পাঠিয়ে লিভারপুলকে উল্লাসে ভাসান আলেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড।

এই জয়ে নিজেদের মাঠে লিগে ১৩ মাস ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল লিভারপুল। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে ক্লপের দল। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৩। ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে আছে ফুলহ্যাম।