ইনজুরি থেকে ফেরার পর এটা ছিল তার দ্বিতীয় ম্যাচ। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইনে সেটা বুঝতেই দিলেন না। আগের ম্যাচে যে জাদু দেখালেন সেটা ধরে রাখলেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষেও। বদলি নেমে খেলার চিত্রটাই পাল্টে দিলেন এই বেলজিয়ান। তাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে নিউক্যাসলকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানসিটি।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নিজেদের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো নিউক্যাসল। কিন্তু অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল। তবে এই শট ঠেকাতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন সিটির গোলরক্ষক এডারসন। ষষ্ঠ মিনিটে তার বদলি হিসেবে মাঠে আসেন জার্মান গোলরক্ষক স্টেফান ওর্তেগা।
এরপর নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে ওঠে সিটি। আর তাতেই ম্যাচের ২৬তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন বার্নার্দো সিলভা। কাইল ওয়াকারের চমৎকার নিচু ক্রসে গোড়ালি দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত ফ্লিকে জাল খুঁজে নেন অভিজ্ঞ পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিলো না প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক মার্তিন দুবব্রাউকার।
নিউক্যাসল ম্যাচে ফিরে ৩৫তম মিনিটে। সিটির রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়ানো আলেকজান্ডার ইসাকের নৈপুণ্যে সমতা ফেরে তারা। পাল্টা আক্রমণে বল পেয়েই তাকে খুঁজে নেন গিমারাইশ। গতিতে ওয়াকারকে পেছনে ফেলে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন ইসাক।
গোল পেয়েই যেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে নিউক্যাসল। তাতে ২ মিনিট ১৯ সেকেন্ড পর প্রতি-আক্রমণে আরকটি দারুণ গোলে এগিয়ে যায় তারা। ড্যান বার্নের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম দিক থেকে বিনা বাধায় অনেকটা এগিয়ে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন অ্যান্তোনি গর্ডন।
বিরতির আগে আক্রমণাত্মক ফুটবলে বেশ চেপে ধরলেও সমতা ফেরাতে পারেনি সিটি। তাতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় নিউক্যাসল।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে সিটি। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। সেটা এমনই যে ৬৯তম মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জুলিয়ান আলভারেজ। পরের মিনিট তার শট শুয়ে পড়ে ঠেকান ডিফেন্ডার ফাবিয়ান শার।
ম্যাচের গতি বুঝে এর মাঝেই ডি ব্রুইনেকে নামান সিটি কোচ গার্দিওলা। কোচের ভরসার প্রতিদান দিতে দেরি করেননি এই বেলজিয়ান। ৭৪তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ঠাণ্ডার মাথার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ডি ব্রুইনে।
নির্ধারিত সময়েও ম্যাচ সমতা ছিল। সিটি তখন পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায়। এমনই সময় আবারও ঝলক নিয়ে হাজির হলেন ডি ব্রুইনে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দারুণ ক্রসে তিনি খুঁজে নেন অস্কার ববকে। সঙ্গে লেগে থাকা খেলোয়াড়ের স্লাইড এড়িয়ে দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে জাল খুঁজে নেন বব।
প্রিমিয়ার লিগে টানা তৃতীয় জয় পেল সিটি। ২০ ম্যাচে ১৩ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এলো শিরোপাধারীরা। এদিকে ২১ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে নিউক্যাসল আছে ১০ নম্বরে। ২০ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে অ্যাস্টন ভিলা।