খেলাধুলা

বড় জয়ে ‘ক্লপময় অ্যানফিল্ড’ রাঙালো লিভারপুল

লিভারপুলের ডাগআউটে আর দেখা যাবে না জার্গেন ক্লপকে, এমন ঘোষণার পর প্রথমবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে খেলতে নেমেছিল লিভারপুল। এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে নরউইচ সিটিকে ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম রাউন্ডে পা রেখেছে ইংলিশ ক্লাবটি। 

ম্যাচের আগে অ্যানফিল্ড হয়ে উঠেছিল ‘ক্লপময়’। দোকানে দোকানে ঝুলছিল লাল রঙের টি-শার্টটি, তাতে লেখা কৃতজ্ঞতার বাণী ‘থ্যাঙ্কস, বস’। দর্শকদের এই ভালোবাসার প্রতিদান ক্লপ দিলেন ম্যাচ শেষে। দলকে তুললেন পঞ্চম রাউন্ডে। যেখানে লিভারপুল খেলবে ওয়াটফোর্ড কিংবা সাউদাম্পটনের বিপক্ষে।

ম্যাচের শুরু থেকেই মৌমাছির মতো হুল ফোটাতে থাকে লিভারপুল। তাতে ১৬ মিনিটেই কার্টিস জোন্সের গোলে এগিয়ে যায় তারা।  ৬ মিনিট পর বেন গিবসন সমতায় ফেরান নরউইচকে। ম্যাচের তৃতীয় গোলটি আসে আরও ২৮ মিনিটের মাথায়। দারউইন নুনেজ এগিয়ে নেন দলকে। প্রথমার্ধ ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে লিভারপুল।

দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে দিয়েগো জোতা ব্যবধান ৩-১ করার ১০ মিনিট পর বদলি নামা ভার্জিল ফন ডাইক ব্যবধানটাকে ৪-১ করে। বিপরীতে ৬৯ মিনিটে নরউইচের বোরহা সাইঞ্জের ব্যবধান কমালেও যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে লিভারপুলকে পঞ্চম গোলটি এনে দেন রায়ান গ্রাভেনবার্চ।

এর আগে শুক্রবার লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দেন ক্লপ। এক বিবৃতিতে ক্লপ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি এই খবর শুনে অনেকেই চমকে যাবেন। তবে অবশ্যই আমি এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারি, অন্তত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে পারি। এই ক্লাবের সবকিছুই আমি ভালোবাসি। এই শহরও ভালোবাসি। কিন্তু তারপরও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বুঝতেই পারছেন আমি সত্যিই এটা চাই।’

‘কীভাবে বোঝাব যে আমার দম ফুরিয়ে আসছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। জানতাম যে, একটা সময় আমাকে এই ঘোষণাটা দিতে হবে। এখন আমি পুরোপুরি ভালো আছি। তবে এটা জানি যে, একই কাজ আমি বারবার করতে পারব না।’-আরও যোগ করেন ক্লপ।

লিভারপুলের হয়ে ক্লপের ভান্ডারে সব বড় শিরোপাই আছে। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পাশাপাশি তারা ঘরে তোলে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের মৌসুমে আসে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। ২০২১-২২ মৌসুমে জেতে লিগ কাপ ও এফএ কাপ।