চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে মামুলি পুঁজি পেল দুর্দান্ত ঢাকা। দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালে রেখেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আজ বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভালো শুরুর পরও বড় পুঁজি পেল না দুর্দান্ত ঢাকা। শুরুর ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৮২। সেখান থেকে পরের ১০ ওভারে মাত্র ৪২ রান যোগ করতে পারে তারা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকার ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১২৪ রানে।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে উইকেট হারায় ঢাকা। আরও একবার সুযোগ পাওয়া সাব্বির হোসেন এক চারের পর ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে নাঈম হাসানের বলে লং অনে ক্যাচ তোলেন। রায়ান বার্ল সহজ ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরার পথ দেখান।
সেখান থেকে ৭৮ রানের জুটি গড়েন সাইফ হাসান ও নাঈম ইসলাম। দুজনের আক্রমণাত্মক ইনিংসে মনে হচ্ছিল ঢাকার রান চূঁড়ায় যাবে। উইকেটের চারিপাশে বাউন্ডারির পসরা সাজান দুই ব্যাটসম্যান। নাঈম হাসানের করা তৃতীয় ওভারে সাইফ হাসান তোলেন ১৯ রান। যেখানে তিন চারের সঙ্গে ছিল এক বিশাল ছক্কা।
পরের ওভারে সাকিবকে দুই চার ও এক ডাবল নিয়ে নাঈম শেখ হাত খোলা শুরু করেন। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ঢাকার রান পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে। আক্রমণের ধার তারা দুজন ধরে রাখেন পরবর্তীতেও। সাইফ সাকিবকে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকান সহজে। নাঈম হাসান আরিফুল হকের বল দুইবার উড়ান হাওয়ায় ভাসিয়ে। দুই ছক্কায় নাঈম ইনিংস বড় করার সম্ভাবনা দেখান।
কিন্তু ১০ ওভারের পর পাল্টে যায় ঢাকার ব্যাটিং চিত্র। ধারাবাহিক উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে তারা। সাইফ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ৩২ বলে। ৬ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নাঈম শেখ ২৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি সাজান ২টি করে চার ও ছক্কায়। তাদের দুজন ছাড়া ঢাকার কেবল দুই ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটা ছাড়িয়েছেন। সায়েম আইয়ুব ১০ ও ক্রসপুল্লে ১২ রান করেন।
বল হাতে রেজাউর রহমান রাজা ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন সামিত পাটেল। ১টি করে উইকেট নেন নাঈম ও হাওয়েল।
দুই দল এর আগে বিপিএলে একটি করে ম্যাচ জিতেছে। আজ কার মুখে জয়ের হাসি ফুটে সেটাই দেখার।