মঈন আলীর কথা মনে আছে? ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন। কিন্তু দলের প্রয়োজনে ২০২৩ সালে অ্যাশেজ সিরিজের আগে আবার ফিরেছিলেন। তবে ড্যান পিয়েডটের গল্প মঈন আলীর গল্পকেও হার মানাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকান এই স্পিনার সবশেষ ২০১৯ সালে টেস্ট খেলেছিলেন। এরপর ২০২০ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। চলে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তাদের হয়ে খেলার পরিকল্পনা ছিল তার। হয়েছেও তাই, প্রথমে মাইনর লিগ ক্রিকেট ও পরে ২০২৩ সালে প্রথমবার আয়োজিত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ‘মেজর লিগ ক্রিকেটে’ ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হয়ে খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটভক্তরা তাকে ভুলতে বসেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে বদলে গেল তার ভাগ্য। এসএ-টোয়েন্টির কারণে নিউ জিল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো তারকা ক্রিকেটার খেলতে রাজি হননি। তখন বাধ্য হয়ে তরুণদের নিয়ে দল গঠন করতে হয় ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
এই পরিস্থিতির আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ শুকরি কনরাডের কাছ থেকে একটি ক্ষুদেবার্তা পান পিয়েডট। অবশ্য সেই ক্ষুদেবার্তা পেয়ে তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে কি পড়ছেন। কারণ, তখনও যে তিনি নর্থ ক্যারোলিনায়! কোচের কাছ থেকে আবার জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেননি তিনি। তবে তার আগে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। সেটা প্রমাণ করেই তিনি ডাক পান দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে।
যদিও প্রথম টেস্টে সুযোগ পাননি একাদশে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়েই করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৩২.৩ ওভার বোলিং করে ৫ মেডেনসহ ৮৯ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। তার ঘূর্ণি জাদুতে নিউ জিল্যান্ড অলআউট হয় ২১১ রানে। তাতে প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানে অলআউট হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা লিড পায় ৩১ রানে।
চার বছর পর টেস্টে ফিরে প্রথমে তিনি টম লাথামের উইকেট নেন। এরপর ফেরান কেন উইলিয়ামসনকে। এরপর সেট ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপস, উইল ইয়াং ও নেইল ওয়াগনারের উইকেট নেন।
ব্যাট হাতে নিউ জিল্যান্ডের উইলিয়ামসন সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। এছাড়া লাথাম ৪০, ইয়াং ৩৬, ওয়াগনার ৩৩ ও রাচীন রবীন্দ্র ২৯ রান করেন। পিয়েডট ছাড়া ড্যান প্যাটারসন নেন ৩টি উইকেট। ১টি উইকেট নেন শেপো মরেকি।
তার আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা। আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনে দলীয় সংগ্রহে আর ২২ রান যোগ করতেই শেষ চার উইকেট হারায় তারা। আগেরদিন ৫৫ রানে অপরাজিত থাকা রুয়ান ডি সোয়ার্ডট আজ ৬৪ রানে আউট হন। আর ৩৪ রানে অপরাজিত থাকা শন ভন বার্গ আউট হন ৩৮ রান করে। এরপর পিয়েডট ৪ রান করে আউট হন আর মোরেকি ৪ রানে অপরাজিত থাকলে ২৪২ রান পর্যন্ত যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
বল হাতে কিউইদের উইলিয়াম ও’রউর্কে ৪টি উইকেট নেন। ৩টি উইকেট নেন রাচীন। ১টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, ম্যাট হেনরি ও ওয়াগনার।