আন্দ্রে রাসেলকে পুল করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রংপুর রাইডার্স হারায় তৃতীয় উইকেট। রান মাত্র ২৭!
সাকিব যখন মাঠ ছাড়ছিলেন ক্রিজে আসেন জিমি নিশাম, তাকে থামিয়ে কী যেন একটা বোঝালেন সাকিব। হয়তো উইকেটে থিতু হয়ে খেলার পরামর্শ দেন! এরপর যেন রংপুরের ইনিংস শুধু নিশামময়!
এই কিউই অলরাউন্ডার পঞ্চম ওভারে এসে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকেন এবং ঝড়ো ইনিংস খেলে রংপুরকে এনে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর। সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয় রংপুর। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৪ রান করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
১৯তম ওভার যখন শুরু হয় তখন নিশামের রান ৭১। ওভারের শেষ বলের আগে সেঞ্চুরি থেকে ছিলেন মাত্র ৩ রান দূরে! মাঝে ২ চার ও ৩ ছক্কায় নেন ২৬ রান! শেষ বলও চালিয়েছিলেন, কিন্তু দূর্ভাগ্য টাইমিং মেলেনি। নিশাম অপরাজিত থাকেন মাত্র ৪৯ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি ছয় ও ৮টি চারে। ফিফটি করেন ৩২ বলে। ফিফটির পর ৪৭ রান করেন ১৭ বলে।
নিশামের ব্যাটে রান ফোয়ারার দিন বিপিএলে সবচেয়ে খরুচে বোলার হিসেবে নাম লেখান মুশফিক হাসান। তিনি ৪ ওভারে দেন ৭২ রান, নেন ১ উইকেট। ৩৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ১ উইকেট নিলেও সুনীল নারিন ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ, ৪ ওভারে দেন ১১ রান।
রংপুরের হয়ে নিশাম ছাড়া কেউ লম্বা ইনিংস না খেলতে পারলেও নুরুল হাসান সোহান দারুণ সঙ্গ দেন। ২৪ বলে ৩০ রান করে ১৯তম ওভারে আউট হন রংপুর অধিনায়ক। দুজনে যোগ করেন ৩৬ বলে ৫৩ রান। শেষ চার ওভারে রংপুর নেয় ৬৭ রান!
এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে শূন্যরানে ফেরেন শামীম পাটোয়ারী। শুরুতেই চড়াও হওয়া রনি তালুকদার ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে সাকিব ফেরেন ৯ বলে ৫ করে। শেখ মাহেদী সম্ভাবনা দেখালেও তার ব্যাট থেকে ২২ রানের বেশি আসেনি। আর উইন্ডিজ হার্ড হিটার নিকোলাস পুরানেরও একই হাল, ৯ বলে ১৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এক প্রান্তে আগলে রেখে একাই টেনে নিয়েছেন নিশাম।