ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে রইলো আর্সেনাল। সোমবার রাতে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে রীতিমতো গোল উৎসব করেছে তারা। হারিয়েছে ৬-০ গোলের ব্যবধানে।
এই জয়ে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে টিকে রইলো গার্নার্সরাও। ২৭ ম্যাচ থেকে আর্সেনালের সংগ্রহ এখন ৬১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানসিটি দ্বিতীয় ও ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে শীর্ষে। তবে গোল ব্যবধানে লিভারপুল ও ম্যানসিটি থেকে বেশ এগিয়ে আছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচ থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেফিল্ড আছে টেবিলের তলানিতে।
এদিন শেফিল্ডের মাঠে প্রথমার্ধেই ৫ গোল করে আর্সেনাল। বিরতির পর করে আরও একটি গোল। তাতে ক্লাবটির ইতিহাসে অ্যাওয়ে ম্যাচে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় তুলে নেয়। এটা ছিল এবারের আসরে মাইকেল আর্তেতার শিষ্যদের টানা সপ্তম জয়। তারা ছাড়া এবার প্রিমিয়ার লিগের আর কোনো দল টানা সাত ম্যাচে জয় পায়নি।
শুধু তাই নয় প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা তিন অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫ কিংবা তার অধিক গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ১৯৬১ সালে বার্নলির পর প্রথম দল হিসেবে অ্যাওয়ে ম্যাচে কমপক্ষে পাঁচ গোল করে তিনটি ম্যাচ জিতলো তারা।
শেফিল্ডের বিপক্ষে এদিন গোল পেতে সময় নেয়নি আর্সেনাল। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই মার্টিন ওদেগার্ড গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ১৩ মিনিটে শেফিল্ডের জয়ডেন বোগলের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।
১৫ মিনিটের মাথায় গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলির গোলে গার্নার্সরা এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। ২৫ মিনিটে কাই হাভার্টজ গোল পেলে ব্যবধান হয় ৪-০। আর ৩৯ মিনিটে ডেকলান রাইসের গোল করেন। তাতে ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে বেন হোয়াইট গোল করেন। তাতে ব্যবধান হয় ৬-০। ম্যাচের বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি। অবশ্য কৃতিত্ব দিতে হবে শেফিল্ডের গোলরক্ষক ইবো গ্রবিচকে। তিনি আর্সেনালের সাত-সাতটি গোলের দারুণ সুযোগ রুখে দেন। তা না হলে গোল ব্যবধান আরও অনেক বেশি হতে পারতো।