মাঠে নামার আগে লিভারপুলই বরং এগিয়ে ছিল। কিন্তু মাঠের হিসেবে দেখা গেল উল্টোটা। নিজেদের চেনা ছন্দটা দেখাতে পারলো না জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। তাতে আর্সেনালের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হার দেখতে হলো লিভারপুলকে। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচটি ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে লিভারপুল।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ত্রয়োদশ মিনিটে বুকায়ো সাকার গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। এরপর আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরায় লিভারপুল। মাঝে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে ফের এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড।
ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতেই সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু দিয়েগো জোটা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রতি-আক্রমণে একাদশ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন বুকায়ো সাকা। মিস করা সাকার পা থেকেই অবশ্য প্রথম গোলটি পায় আর্সেনাল। কাই হাভার্টজের ফিরতি শট পেয়ে বুলেট গতিতে জাল খুঁজে নেন আর্সেনাল অধিনায়ক।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে ভাগ্য কথা বলে লিভারপুলের পক্ষে। লুইস দিয়াজের কাট ব্যাক ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস। আর তাতে লিভারপুল মাঠ ছাড়ে সমতার স্বস্তি নিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলে আর্সেনালকে চেপে ধরলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি লিভারপুল। উল্টো ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান মার্তিনেল্লি। আলিসন ও ফন ডাইকের ভুল বোঝাবুঝিতে ডি-বক্সের মুখ থেকে ঠাণ্ডা মাথার শটে বল পাঠান এই ব্রাজিলিয়ান তরুণ।
এরপর যোগ করা সময়ে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় আর্সেনাল। ব্যবধান বাড়ান ট্রোসার্ড। মাঝমাঠে বল পেয়ে বিনা বাধায় ডি-বক্সে এগিয়ে যান বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। আশেপাশে ছিলেন না কোনো সতীর্থ। অনেকটা মরিয়া হয়েই গোলের জন্য শট নেন তিনি, বল চলে যায় ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক গলে!
এই হারেও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে লিভারপুল। ২৩ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৫১। সমান ম্যাচে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে আর্সেনাল। দুই দলকেই অবশ্য পেছনে ফেলার সুযোগ আছে ম্যানচেস্টার সিটির সামনে। ২১ ম্যাচে শিরোপাধারীদের পয়েন্ট ৪৬।