সিলেট টেস্টে মাঠে নামার আগে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতায় আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। সঙ্গে সিলেটে আগের টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারানোয় শান্ত অ্যান্ড কোম্পানির মানসিকতা ছিল পরিস্কার। মাঠে নামার আগে অধিনায়ক শান্ত সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ম্যাচটা তারা জিততে চান। কিন্তু সাড়ে চারদিনের লড়াইয়ে বাংলাদেশ একটা মুহূর্তের জন্যও ম্যাচে ছিল না। অতিথি দলের ব্যাট-বলের দাপটে ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই দুই ম্যাচের সিরিজ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজ ১-১ ড্র করে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। দ্বিতীয় ম্যাচ হারলে নিশ্চিতভাবে বিরাট ক্ষতি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে পিছিয়ে যাবে। তাইতো নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে হলেও চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে চায় বাংলাদেশ। শান্ত সিলেট টেস্ট হারের পর জানালেন, নিরাপদ ক্রিকেট নয়, ম্যাচটা ড্র করার জন্য নয়। জিতে সিরিজ ড্র করতে চান। শান্ত বলেছেন, ‘আমি অধিনায়ক হিসেবে নিরাপদ ক্রিকেট খেলতে চাই না। পরের ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব এবং ঐ অনুযায়ী প্রস্তুতি-পরিকল্পনা করব।’
দ্বিতীয় টেস্টের দলে এখনো ঘোষনা করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, এই টেস্টে খেলতে পারেন সাকিব আল হাসান। নিজ থেকে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাকিব। এজন্য মাঠে ফিরে অনুশীলন করছেন। ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন। সাকিবকে পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত শান্ত, ‘অবশ্যই, সিনিয়র প্লেয়ার থাকলে তো অবশ্যই স্বস্তি তো থাকেই। সাকিব ভাইয়ের মতো খেলোয়াড় যদি দলে আসে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ভালো হয়। তার অভিজ্ঞতা আমাদের দলকে অনেক সহায়তা করবে। যদি ফিরেন তাহলে ভালোই হবে।’
বিশাল হারকে সঙ্গী করে বাংলাদেশ সিলেট থেকে চট্টগ্রামে ফিরবে। নিশ্চিতভাবেই দলে আসবে পরিবর্তন। পরিকল্পনা কেমন হতে পারে জানতে চাইলে শান্ত তেমন কিছু বলতে চাইলেন না, ‘চট্টগ্রাম যাওয়ার পর উইকেট দেখব। তখন আসলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে প্রয়োজন আছে কি নেই (একাদশে পরিবর্তন)। এ মুহূর্তে এখন পর্যন্ত পরের ম্যাচের একাদশ বা পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা করিনি।’