আগামী ৩১ মার্চ রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। আসন্ন এই এজিএমের জন্য দুই দফায় বাজেট বাড়ানো হয়েছে পৌনে দুই কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এজিএমের বাজেট দাঁড়িয়েছে পৌনে চার কোটি তথা ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় এজিএম হতে যাচ্ছে এটি। সবশেষ এজিএম হয় ২০২২ সালে। এবারের জন্য প্রথম ধাপে বাজেট ধরা হয়েছিল ২ কোটি টাকা। তবে সবশেষ বোর্ড সভায় দ্বিতীয় ধাপে বাজেট বাড়ানো হয় আরও পৌনে ২ কোটি তথা ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রাইজিংবিডি। জানা গেছে, প্রথম ধাপে বোর্ড ২ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়। তবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অঙ্ক প্রায় দ্বিগুণ করে পুনরায় বাজেট পাশ করা হয়। কিন্তু কোথায় খরচ বেড়েছে?
বাজেটের বড় একটি অংশ বিসিবি খরচ করে কাউন্সিলরদের পেছনে। ক্রিকেট বোর্ডের সব জেলা মিলিয়ে ১৭০ জন কাউন্সিলর আছেন। প্রত্যেককে নগদ ১ লাখ টাকা এবং সঙ্গে দেওয়া হবে একটি করে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট। প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি আরও ৫০ হাজার বাড়ানো হয়।
১৭০ জনকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হলে সেখানে খরচ হবে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গ্যাজেটের পেছনেও খরচ হতে পারে প্রায় কোটি টাকা। তবে গ্যাজেটের ধরণের উপর নির্ভর করে এই খাতে টাকা বাড়তে পারে কিংবা কমতেও পারে। কাউন্সিলরদের যাতায়াত খরচও বহন করবে বোর্ড। কাউন্সিলরদের রাখা হবে পাঁচ তারকা হোটেলে। দুরবর্তী জেলার কাউন্সিলরদের দেওয়া হবে বিমান টিকিট।
সব মিলিয়ে বিসিবির এজিএম যেন কাউন্সিলরদের জন্য উৎসবের। প্রতিবারই নগদ অর্থের সঙ্গে থাকে দামি উপহার। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এর আগের এজিএমে (২০২২) ছিল মুঠোফোন ও ৫০ হাজার টাকা। আর বিসিবির নির্বাচনের আগে হওয়া এজিএমে ছিল ল্যাপটপ ও ১ লক্ষ টাকা।
গত ৯ মার্চ আসন্ন এজিএম আয়োজনের জন্য জরুরী বোর্ড মিটিং ডাকে বোর্ড। সেখানে বাজেটসহ যাবতীয় বিষয়াদির চূড়ান্ত করেন বোর্ড পরিচালকরা।