খেলাধুলা

আইসিসিকে দল পাঠালেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে না বিসিবি!

বিষয়টি অনেকটা হাস্যকর শোনালেও এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের ভেতরে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন প্যানেল দল বাছাই করে বিসিবি মারফত পাঠিয়েছে আইসিসিকেও। কিন্তু ১৫ জনের দলে কারা আছেন বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনই প্রকাশ করবে না।

আইসিসির বেধে দেওয়া সূচি অনুযায়ী, পহেলা মে’র মধ্যে বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে। এরপর ২৫ মে’র মধ্যে স্কোয়াডে পরিবর্তন করা যাবে কোন কারণ ছাড়াই। এরপর আইসিসির অনুমোদনে খেলোয়াড় পাল্টানো যাবে।

এখানে ঘোষণা বলতে আইসিসিকে পাঠাতে হবে। এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ২০ দলের মাত্র সাতটি নিজেদের দল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। যেহেতু দল আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণার বাধ্যবাধকতা নেই সেজন্য সময় নিচ্ছে বিসিবি।

সঙ্গে আরেকটি বিরাট প্রশ্ন উঠছে। বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে বাকি নেই ৩০ দিনও। অথচ এখন পর্যন্ত কারা খেলবে টিম ম্যানেজমেন্ট চূড়ান্ত করতে পারেনি। নিজেদের প্রস্তুতির ঘাটতি তাতে স্পষ্ট হয় প্রবলভাবে। সঙ্গে খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখা না রাখার বিষয়টিও চলে আসছে।

জানা গেছে, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকারের নির্বাচক প্যানেল যে দল দিয়েছে তাতে তেমন কোনো চমক নেই। নিয়মিত সব ক্রিকেটারকে নিয়েই বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ। যেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাইফ উদ্দিন টিকে গেছেন ভালোভাবেই। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে তারা উঠবেন তা প্রায় নিশ্চিত।

সৌম্য সরকারকে নিয়ে খানিকটা দ্বিধায় থাকলেও তাকেও সেরা ১৫ জনের দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে তাকে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ফিটনেস পরীক্ষাতেও ভালো করতে হবে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকা তিন ওপেনারের একজনকে বাদ পড়তে হবে বিশ্বকাপ থেকে। লিটন কুমার দাশের সঙ্গে তানজিদ হাসান তামিমকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিকে ডাকা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা লিগে ভালো করায় ফেরানো হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। সৌম্যকে বিশ্বকাপ দলে রাখতে হলে তানজিদ বা ইমন এ দুজনের একজনেক বাদ পড়তে হবে। আফিফ হোসেন নেই বিশ্বকাপ দলে।

তাসকিন, শরিফুল, মোস্তাফিজ ও তানজিমকে নিয়ে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ। তাদের ধার বাড়াতে রয়েছেন সাইফ উদ্দিন। সাকিবের সঙ্গে দুই স্পিনার হিসেবে আছেন রিশাদ হোসেন ও শেখ মাহেদী।

নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলে ওপেনার হিসেবে আছেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ তো আছেনই।

এ দলটাই আইসিসিকে পাঠিয়েছে বিসিবি। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর দুই-একটা পরিবর্তন আসতেও পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে।