৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। দশ দলের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো ঢাকা ও সিলেটে অনুষ্ঠিত হলেও দুটি সেমি-ফাইনালসহ ফাইনাল হবে মিরপুরে। এছাড়া ওয়ার্ম আপ ম্যাচগুলো হবে বিকেএসপিতে। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে দলগুলো বিশ্বকাপে অংশ নেবে।
রোববার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডিস, ভারত-বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও নিগার সুলতান জ্যোতির উপস্থিতিতে ট্রফি উন্মোচন, ড্র এবং সূচি প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, বিশ্বকাপের ২৩ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কেবল দুই ভেন্যুতে। কেন এমনটা হলো? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে।
আয়োজক দেশের প্রধান হয়ে নাজমুল হাসানের জানার কথা টুর্নামেন্টের খুঁটিনাটি। তবে বোর্ড প্রধান ভেন্যুর বিষয়টিই পরিস্কার করতে পারলেন না, ‘কেন দুইটা ভেন্যু, তার সঠিক কারণটা আমি জানি না। সম্ভাব্য যতগুলো ভেন্যু ছিল, সব দেখে ওনারা মনে করেছে এই দুই ভেন্যুতেই সবচেয়ে ভালো হয়। শুধু বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, আইসিসিও আছে, আমাদের বোর্ডও আছে। তো আমার মনে হয় বেস্ট পসিবল অপশন যা ছিল, তাই চুজ করেছে। অন্য জায়গায় হলেও যে তা ঠিক, ছড়িয়ে যেত। আপাতত এই দুইটাকেই যদি আমরা ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক জায়গায় আয়োজন করতে পারব।’
এদিকে টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করার জন্য বিসিবি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তার মধ্যে গ্যালারি হাউসফুল করার কাজটাও করবে। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিট কিনবে বিসিবি। আইসিসির ইভেন্টে টিকিট ফ্রি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এজন্য টিকিট কিনবে বিসিবি।
নাজমুল হাসান যোগ করেছেন, ‘ফ্রি টিকেট এখন বলা মুশকিল। ফ্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বোর্ড নিজের উদ্যোগে চেষ্টা করবে যে ওদেরকে মাঠে আনার জন্য। সেটার জন্যে যদি পেমেন্ট করতে হয়, বোর্ড করবে, ওদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে হবে না। বিশ্বকাপের কোনো টিকিটই কিন্তু ফ্রি না, এই মেসেজটা আমি সবার জন্যেই বলছি।’