জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলা সিরিজের পারফরম্যান্স নাজমুল হোসেন শান্ত খুব একটা আমলে নিতে চান না। বিশেষ করে ব্যাটিং পারফরম্যান্সকে গোনায় ধরতে চান না। কারণ, উইকেট। দলপতি মনে করেন, চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকায় যে উইকেটে খেলা হয়েছে সেখানে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। ভালো উইকেটে খেলা হলে পাল্টে যাবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র।
রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। এর আগে চার ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষকে প্রথমবার ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি শান্ত অ্যান্ড কোং। এর পেছনের কারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ১৫৭ রান করে। ৯ বল আগে জিম্বাবুয়ে ওই লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে। ঢাকার আগে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচেও তেমন রান হয়নি। তবে রান হওয়া নিয়ে তেমন উদ্বিগ্ন নন অধিনায়ক।
শান্তর ভাষ্য, ‘নরম্যালি চট্টগ্রামে খুব ভালো উইকেট থাকে। এবার যেটা দেখলাম এই তিন ম্যাচে নতুন বলে ব্যাটিং করা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাইরে থেকে দেখলে অনেকেই মনে করবে, চট্টগ্রামের উইকেটে রান হয় অনেক। এবার যে তিনটা ম্যাচ খেলেছি, নতুন বলে অনেক কঠিন ছিল খেলা। তার পরে বৃষ্টির কারণে আমাদের ব্যাটিং অনেকটা সময় অন অ্যান্ড অফ করা লেগেছে। ছন্দটাও তেমন একটা পাইনি। এগুলো সব মনে হতে পারে অজুহাত। কিন্তু আমরা ব্যাটসম্যানদের সেই স্বাধীনতা দিয়েছি, উইকেট অ্যাসেস করে সেভাবেই ব্যাটিং করা।’
দলের সাফল্যের জন্য শান্ত শুধু পৃথক ব্যাটসম্যান বা বোলারদের ওপর নির্ভর না হওয়ার কথা বললেন। তার কণ্ঠে ঐক্যবদ্ধ পারফরম্যান্সের ডাক, ‘আমরা বোলার বা ব্যাটসম্যানকে আলাদা করতে চাই না। আমরা যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে সেখানে প্রত্যেকের কন্ট্রিবিউশন গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে আমি চাইবো প্রতিদিন আমার বোলাররা ভালো বল করুক। ব্যাটসম্যানরা যেন তাদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করে। আলাদা করে আমি ব্যাটসম্যানদের বাড়তি কোনো প্রেসার দিতে চাই না। বাড়তি কোনো প্রেসার বোলারদেরও দিতে চাই না।’
এবারের আইপিএলে নিয়মিত দুইশ’র বেশি রান হচ্ছে। ওই রান তাড়া করে জয় পাচ্ছে প্রতিপক্ষ দল। রান ফোয়ারা, চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে বোলাররা স্রেফ দর্শক হয়ে আছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন কিছু হবে না বলেই বিশ্বাস শান্তর। তার দাবি, ১৮০ রানের আশেপাশেই হবে বিশ্বকাপের গড় স্কোর।
‘আমার তো মনে হয় না (আইপিএলের মতো রান হবে)। আইপিএল যে উইকেটে হচ্ছে। আইপিএলের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। এর আগেও দেখেছি পিএসএলেও দুইশ’র বেশি রান হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি যতটুকু জানি, ১৬০-১৭০ কিংবা ১৮০…দুইশ রান যদি কেউ করে তাহলে খুব ভালো। এগুলো কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি দেখা যায় না। আমার মনে হয় বিশ্বকাপে এরকম কিছুই হবে ১৬০ থেকে ১৮০ রানের ভেতরে। ভালো উইকেটে। এর ভেতরেই বোলারদের ডিফেন্ড করতে হবে। আর ব্যাটসম্যানদের রান চেজ করতে হবে। আইপিএলের সঙ্গে তুলনা করাটা কখনোই যৌক্তিক হবে না।’