রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য। আবার কিছু কিছু রেকর্ড এমনভাবে শিখর ছুঁয়ে থাকে সেটা ভাঙা মুশকিলই হয়। বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই নতুন নতুন রেকর্ড হয়। ভেঙে যায় পুরনো রেকর্ড। রোববার থেকে মাঠে গড়াতে যাওয়া এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার ব্যতিক্রম হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে যে পাঁচটি রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে সেগুলো চলনু দেখে নেওয়া যাক।
সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ড: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চার মেরেছেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে। তিনি ১১১টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। তবে এবার সেই রেকর্ডটা ভেঙে দিতে পারেন বিরাট কোহলি। ১০৩টি চার নিয়ে জয়াবর্ধনের পেছনেই আছেন কোহলি। শ্রীলঙ্কান গ্রেটের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ আছে রোহিত শর্মার সামনেও। তিনি ৯১টি চার নিয়ে আছেন চতুর্থ স্থানে। আর ৮৬টি চার নিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারও আছেন রেকর্ড ভাঙার এই প্রতিযোগিতায়।
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিটি দখলে রেখেছেন ক্রিস গেইল। যিনি ৪৭ ও ৫০ বলে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি করেছেন নেপালের জান নিকোল লোফ্টি। যিনি এ বছর মাত্র ৩৩ বলে ছুঁয়েছিলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার। এবার যেহেতু ২০টি দল খেলছে, তার মধ্যে কিছু দল শক্তিমত্তায় দুর্বলও আছে। তাদের বিপক্ষে শক্তিশালী কোনো দলের ব্যাটসম্যান হয়তো গেইলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ভেঙে দিতে পারেন।
ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার রেকর্ড: দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৩টি ক্যাচ ধরে এই তালিকায় আছেন শীর্ষে। ২১টি ক্যাচ নিয়ে তার পেছনেই আছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এবারের আসরে ওয়ার্নার আর মাত্র ৩টি ক্যাচ নিলেই গড়বেন নতুন রেকর্ড। ১৬টি করে ক্যাচ নিয়ে এই রেকর্ড ভাঙার দৌড়ে আছেন রোহিত শর্মা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
আইসিসির সব ট্রফি জেতার রেকর্ড: প্যাট কামিন্স গেল বছর অস্ট্রেলিয়াকে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছেন। এবার অস্ট্রেলিয়া যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে তাহলে প্রথম দল হিসেবে আইসিসি আয়োজিত সব ধরনের ট্রফি জেতার রেকর্ড গড়বে তারা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপেরও চ্যাম্পিয়ন।
এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড: এবার দল সংখ্যা বাড়ায় ম্যাচের সংখ্যাও বাড়ছে। ফাইনাল পর্যন্ত যেতে একটি দলকে মোট ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও ভেঙে যেতে পারে। বর্তমানে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বিরাট কোহলি। তিনি ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে ৬ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩১৬ রান। এবার হয়তো তার সেই রেকর্ডটি তিনি নিজে কিংবা অন্য কেউ ভেঙে দিতে পারেন।