খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়মকানুনের যত খুঁটিনাটি

দুইদিন বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসর। ১ জুন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসতে যাচ্ছে চার-ছক্কার মেলা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো ২০টি দল অংশ নেবে। খেলা মাঠ গড়ানোর আগে দেখে নেওয়া যাক আসরের যত নিয়মকানুন।

দলগুলো কয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে? এবারের আসরে ৪টি গ্রুপে ৫টি করে মোট ২০টি দল খেলবে। যেখানে গ্রুপ এ-তে আছে ভারত, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও কানাডা। গ্রুপ বি-তে আছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। গ্রুপ সি-তে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি। গ্রুপ ডি-তে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

গ্রুপ পর্বের বিজয়ীদের কিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে একে অন্যের বিপক্ষে চারটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল টুর্নামেন্টের সুপার এইট পর্বে যাবে। প্রতিটি জয়ের জন্য দলগুলো ২ পয়েন্ট করে এবং খেলা পরিত্যক্ত হলে বা বৃষ্টিতে ভেসে গেলে ১ পয়েন্ট করে পাবে।

যখন দুটি দল সমান পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করবে তখন কী হবে? যে দলটি তার গ্রুপে বেশি ম্যাচ জিতবে তারা স্বাভাবিকভাবে শীর্ষে থাকবে। যদি গ্রুপ পর্বে সমান পয়েন্ট থাকে, সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটের হিসেব করা হবে। সেখানেও যদি সমান থাকে তাহলে হেড-টু-হেড বিবেচনা করা হবে। তাতে জয়ী দল চলে যাবে সুপার এইটে।

সুপার ওভারের নিয়ম কী? ম্যাচ ড্র হলে সুপার ওভার খেলা হবে। সুপার ওভারেও ড্র হলে ফলাফল আসা পর্যন্ত ধারবাহিকভাবে সুপার ওভার চলতে থাকবে। উল্লেখ্য, সুপার ওভারের নেট রান মূল ম্যাচের রান রেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

সুপার এইটের দলগুলো কিভাবে নির্ধারণ করা হবে? প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সুপার এইটে উত্তীর্ণ হবে। সেখানে ৮টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপে ৪টি করে দল থাকবে। এক্ষেত্রে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটটি দলকে (ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা) আইসিসি আগেই বাছাই করেছে।

এই দলগুলোই যদি সুপার এইটে যায় তাহলে তারা সেই বাছাইয়ের ভিত্তিতে গ্রুপ এক অথবা গ্রুপ দুইয়ে যাবে। বাকিদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে গ্রুপপর্বে টেবিলের শীর্ষে থাকা অথবা দুইয়ে থাকা কোনো ভূমিকা রাখবে না। 

সুপার এইট থেকে দলগুলো কীভাবে সেমিফাইনালে যাবে? সুপার এইট থেকে দুটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে। সেমিফাইনালে এক গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন অন্য গ্রুপের রানার্সআপ দলের মুখোমুখি হবে। 

ফলাফলের জন্য ওভারের সর্বনিম্ন সংখ্যা কত হবে? বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ম্যাচের ওভার কমিয়ে আনা হয়। সে ক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বে ন্যূনতম ৫ ওভার খেলা হতে হবে।সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য ন্যূনতম ১০ ওভার খেলা হতে হবে।

ম্যাচের জন্য কি রিজার্ভ ডে রয়েছে? গ্রুপ পর্বের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। প্রথম সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রয়েছে। আবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল রিজার্ভ ডে-তে গেলে মাঠ গড়াবে ২৮ জুন। ফলে ২৯ তারিখ বিরতি ছাড়াই ফাইনালে নেমে পড়তে হবে। কিন্তু আইসিসি চাচ্ছে ২৮ জুন ট্রাভেল ডে হিসেবে রেখে ২৯ জুন ফাইনাল আয়োজন করতে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওভার-রেটের নিয়ম কী? বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ শেষ হতে হবে ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে, একেকটা ইনিংস শেষ করার সময় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট, এর সঙ্গে ইনিংস বিরতি থাকবে ২০ মিনিট। সময় হিসেব রাখার জন্য এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে থাকছে “স্টপ ক্লক”, মানে একটা ওভার শেষ হওয়ার পরের ১ মিনিটের মধ্যে ২য় ওভার শুরু করার জন্য বোলার প্রস্তুত থাকবে।