খেলাধুলা

নামিবিয়াকে গুঁড়িয়ে সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে নামিবিয়ার পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল না বললেই চলে। আসরের হট ফেভারিট দলের সামনে নামিবিয়া উড়ে যাবে, সেটা আগেই ধারণা করা হয়েছিল। মাঠের লড়াইয়েও দেখা গেল সেই ছাপ। গেরহার্ড এরাসমাসের দলকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে উড়িয়ে সুপার এইটে চলে গেল মিচেল মার্শের দল।

আজ বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তোপের মুখে ১৭ ওভারে ৭২ রানে গুটিয়ে যায় নামিবিয়া। জবাব দিতে নেমে ৮৬ বল হাতে রেখে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় মার্শের অস্ট্রেলিয়া।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেও অজি বোলিং ইউনিটের সামনে অসহায় হয়ে যায় নামিনিয়ার ব্যাটাররা। সাড়াশি আক্রমণ করতে থাকেন জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স, লাথান এলিসরা। অন্যদিকে, স্পিন জাদুতে কারিশমা দেখাতে থাকেন অ্যাডাম জাম্পা।

নামিবিয়ার ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। অধিনায়ক এরাসমাস একপ্রান্ত আগলে দলের হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেন, অপরপ্রান্তে বাকিরা ব্যস্ত উইকেট টিকিয়ে রাখতে। তাতে লাভ হলো না। নামিবিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন এরাসমাস। ৪৩ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় এই ইনিংস খেলেন তিনি।

দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন (১০)। বাকি ৯ ব্যাটারদের সবার রান যোগ করলে হয় ১৭! অতিরিক্ত খাত থেকে এসেছে ৯ রান। আর তাতেই একশর আগেই গুটিয়ে যায় আফ্রিকার দেশটি।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট দখল করেন অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় এই উইকেটগুলো দখল করেন তিনি। বাকিদের মধ্যে দুইটি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড ও মার্কাস স্টয়নিস। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন প্যাট কামিন্স ও নাথান এলিস।

লক্ষ্য ৭৩। এই রান তাড়ায় নেমে অ্যান্টিগায় ঝড় বইয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। ওয়ার্নার ৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে আউট হলে হাল ধরেন হেড। তাণ্ডব চালাতে তার সঙ্গে এসে যোগ দেন অধিনায়ক মার্শ। দুজন মিলে টর্নেডো গতিতে রান তুলে পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই দলকে পৌছে দেন জয়ের বন্দরে।

হেড ১৭ বলে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অন্যপ্রান্তে সমান ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্শ।