লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে কে সেরা এ বিতর্কের অন্ত নেই। তবুও ভক্ত-সমর্থকদের মুখে মুখে দু’জনের দ্বৈরথ উঠে আসবেই। সেটা ক্লাব ফুটবলে হোক বা জাতীয় দলের জার্সিতেই হোক।
বর্তমান সময়ের এই দুই ফুটবল কিংবদন্তি এখন খেলছেন জাতীয় দলের জার্সিতে। কোপা আমেরিকায় মাঠে নেমেছেন আর্জেন্টিনার সুপারস্টার। ইউরোতে খেলছেন পর্তুগালের মহাতারকা।
দুদিন আগে রোনালদো মাঠে নেমে ষষ্ঠ ইউরো খেলার রেকর্ড গড়েছেন।গতকাল মেসি মাঠে নেমে কোপায় সর্বোচ্চ ৩৫ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েছেন। তবে রেকর্ড গড়া, ভাবনা নিয়ে দুজন যেন দুই মেরুতে। সৌদি প্রো লিগে এক আসরে সর্বোচ্চ ৩৫ গোলের রেকর্ড গড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোনালদো লিখেছিলেন, ‘আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পেছনে ছোটে।’ রোনালদোর এমন মন্তব্যকে অনেকেই অহংকার, দম্ভ হিসেবেই নিয়েছেন। এজন্য সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাকে। আবার তার প্রশংসাও হয়েছে।
মেসি কোপার ৩৫তম ম্যাচ খেলেছেন কানাডার বিপক্ষে। প্রথম আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় হিসেবে সাত আসরে খেলার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। পেছনে ফেলেছেন সার্জিও লিভিংস্টোনকে।
শৃঙ্গে উঠেও মেসি একেবারেই নমনীয়। বরং মাটিতে পা রেখেই বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন, ‘জাতীয় দলের সাথে আরও একটি অফিসিয়াল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুশি। আমি সবসময় বলি যে আমি এই ধরনের রেকর্ড বা কোনো রেকর্ডে মনোযোগ দেওয়ার মতো নই, আমি কেবল এই কোপা আমেরিকা উপভোগ করছি। আমরা সবসময় আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব, কখনও ভাল খেলছি, কখনও খারাপ খেলছি, কিন্তু সবসময় চেষ্টা করব আমাদের সেরাটা দেওয়ার এবং প্রতিটি খেলায় লড়াই করার চেষ্টা করব যেমনটা আমরা করছি।’
কানাডার বিপক্ষে মেসি অতি সহজ দুটি গোল মিস করলেও তার অ্যাসিস্টে মার্টিনেজ ও আলভারেজ গোল করে দলকে জেতান। কোপায় আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ চিলির বিপক্ষে।
এদিকে ইউরোতে জয় দিয়ে পর্তুগাল নিজেদের মিশন শুরু করেছে। রোনালদো গোল পাননি প্রথম ম্যাচে। রোনালদোও দুটি সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। শনিবার তাদের পরের ম্যাচ তুর্কির বিপক্ষে।