লড়াইটা দুই স্বাগতিকের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দলই মাঠে নেমেছে প্রথম জয়ের খোঁজে। তাতে প্রথমে ব্যাট করে লড়াই করার মতো পুঁজি পেল না যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের তোপে ১ বল বাকি থাকতেই ১৯.৫ ওভারে ১২৮ রানে গুটিয়ে গেছে অ্যারন জোনসের দল।
শনিবার (২২ জুন) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনিংসটন ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। স্টিভেন টেলরকে ২ রানের মাথায় বিদায় করেন আন্দ্রে রাসেল। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন আন্দ্রিয়াস গাউস ও নিতিশ কুমার। দুজন মিলে কাটিয়ে দেন পাওয়ারপ্লে।
পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন মনে হচ্ছিলো বড় স্কোরের দিকেই এগোচ্ছে দলটি। কিন্তু ভুলটা ভাঙেন গুদাকেশ মোতি। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই নিতিশকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন এই স্পিনার। আউটের আগে ১৯ বলে ২ চারের মারে ২০ রান করেন নিতিশ।
এই জুটি ভাঙার তাল আর সামলে উঠতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। পরের ওভারেই ফিরে যান দলের ভরসা হয়ে থাকা গাউস। ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি। গাউসের বিদায়ে জোনসের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন কোরি অ্যান্ডারসন। এ সময়েই রোস্টন চেজের আঘাত। ১১ রান করা জোনসের স্টাম্প এলোমেলো করে যুক্তরাষ্ট্রকে খাদে ঠেলে দেন তিনি।
১০ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ দড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান। মিলিন্দ কুমারকে নিয়ে একটা ভালো জুটি গড়ার পথে এগোচ্ছিলেন অ্যান্ডারসন। তবে ১৪তম ওভারে কোরিকে ফিরিয়ে সেটা হতে দিলেন না চেজ। দলকে হতাশ করে ১৫ বলে ৭ রান করেন সাবেক কিউই অলরাউন্ডার। পরের বলেই হারমিত সিংকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন চেজ। তবে সেটা হতে দেননি শ্যাডলি ভ্যান শালকউইক।
শালকউইক অবশ্য ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ সঙ্গ পাননি। জুটি বড় হওয়ার আগেই মোতি ও রাসেলের যোগসাজশে রান আউটের খাঁড়ায় কাটা পরে ২১ বলে ১৯ রানে বিদায় নিতে হয় মিলিন্দকে। এক বল পর শালকউইকও ১৭ বলে ১৮ রান করে একই পথ ধরেন। শেষদিকে ঝড় তোলেন আলী খান। তার ৬ বলে ১৪ রানের ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পায় মার্কিন দেশটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও চেজ। ২ উইকেট দখল করেন আলজারি জোসেফ। ১ উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি।