কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। সোমবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হন। কুমিল্লা জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘অনলাইনে নারী ব্যবসা করতেন পাপিয়া’
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পাপিয়া জামিনে বের হন। জামিনের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারামুক্ত করা হয় তাকে।’
আরও পড়ুন: পাপিয়া সাম্রাজ্য: হোটেল ওয়েস্টিনে দুদকের চিঠি
এর আগে, কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন পাপিয়া। সেখানে এক নারী বন্দির ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ৩ জুলাই তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন এবং অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার এবং ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: কে এই পাপিয়া?
এই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।
আরও পড়ুন: ৫ বছরেই মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী পাপিয়া
চার্জশিটে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরবর্তীতে খরচ করেন। এর মধ্যে হোটেল ভাড়া দেন তিন কোটি টাকার বেশি।
এরপর ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা কারাগারে ‘ঝাড়ুদার’ পাপিয়া
পাপিয়া ও সুমন নরসিংদীতে টক অব দ্য টাউন (ভিডিও)
অনৈতিক ব্যবসার পাশাপাশি অর্থপাচার করেছেন পাপিয়া
পাপিয়া দম্পতির অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১ জনের সাক্ষ্য
সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন পাপিয়া
পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছালো
যুব মহিলা লীগ থেকে পাপিয়া আজীবন বহিষ্কার
নিজেদের নির্দোষ দাবি পাপিয়া ও সুমনের
পাপিয়ার ফ্ল্যাটে হতো ককটেল পার্টি
পাপিয়া-সুমনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ
পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের খোঁজে ৬০ ব্যাংকে দুদকের চিঠি
পাপিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন
কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে আসতো পাপিয়ার অস্ত্র
হাজতখানায় পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবকের গোপন বৈঠক
সাহেদ-পাপিয়ার মামলা: সর্বোচ্চ সাজা চায় রাষ্ট্রপক্ষ