খেলাধুলা

স্বপ্ন ছুঁয়ে বিশাল উদযাপনের অপেক্ষায় আফগানিস্তান

আইসিসির কোনো বড় আসরে কখনো সেমিফাইনালে খেলার সাফল্য ছিল না আফগানিস্তানের। সেই অসম্ভবকেই এবার সম্ভব করলো আফগানরা। বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নাম লেখালো রশিদ খানের দল। যেটা আফগানদের জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্ন ছুঁয়ে এবার উদযাপনের অপেক্ষায় রশিদ খান। 

ম্যাচশেষে রশিদ বলেন, ‘সেমিফাইনালে থাকাটা আমাদের জন্য একটা স্বপ্ন। নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে আমরা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেম, তাতে বিশ্বাসটা এসেছিল। এটা অবিশ্বাস্য। একমাত্র ব্রায়ান লারা আমাদেরকে সেমিফাইনালে দেখেছিলেন। আমরা তার কথাকে প্রমাণ করেছি।’

‘আমরা জানতাম যে তারা (বাংলাদেশ) কঠিন প্রতিপক্ষ। আমরা শুধু পরিকল্পনা করেছিলাম যে, কি সুবিধা নিতে পারি। আমাদের পরিকল্পনা চমৎকারভাবে কাজ করেছে। নতুন বলের বোলাররা ভালো করেছে। আমরা মানসিকভাবে ২০ ওভার খেলার জন্য এবং ১০ উইকেট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’- আরও যোগ করেন রশিদ।

আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে এই জয় লেখা হয়ে থাকবে অমর মহকাব্যের মতো। সেটা ভালোভাবেই জানেন রশিদ। দেশে ফিরে বিশালভাবে উদযাপনও করতে চান, ‘বাড়িতে ফিরে এটি (জয়) বড়সড় করে উদযাপন করবো। এটা আমাদের জন্য একটা বড় অর্জন। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও এমনটা করেছি। এই অনুভূতি বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই।’

ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে ১১৫ রান করতে পারে আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে যেতে হলে ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারেই পার হতে হতো বাংলাদেশকে। সেই উদ্দেশ্যে রান তাড়ায় নামলেও লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষমেশ জিততে পারেনি ম্যাচও। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের দল।

সেমি ফাইনালে আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে আফগানরা। ফাইনালের টিকিটের জন্য দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে ভারত ও ইংল্যান্ড। ম্যাচটি হবে গায়ানাতে।