খেলাধুলা

রোনালদোর পর্তুগালের ভবিষ্যৎ ঠিক হয়নি 

পর্তুগালের ম্যানেজার রবার্তো মার্তিনেজ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোনো খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও পেপেকে আবারও পর্তুগালের জার্সিতে দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মার্তিনেজ এ কথা বলেছেন।

শুক্রবার (০৫ জুলাই, ২০২৪) রাতে ইউরো থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগাল। ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তারা। পেপে ছিলেন এবারের ইউরোর সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার। রোনালদো ছিলেন দুই নম্বরে। চার বছর পর আরেকটি ইউরোতে তাদের দেখা যাবে না নিশ্চিত করেই জানিয়েছেন। কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপে কি তারা খেলবেন? কিংবা পর্তুগালের জার্সিতে আবার কি তাদের দেখা যাবে? সেটাই বিরাট প্রশ্নের।

রোনালদোর এখন বয়স ৩৯। পেপের ৪১। দুজনই কাল চোখের জলে ছেড়েছেন বিদায় মঞ্চ। মার্তিনেজ তাদের নিয়ে বলেছেন, ‘তাদের চোখে জল দেখতে পাওয়া অস্বস্তির। পেপে পর্তুগিজ ফুটবলের রোল মডেল। সে আজ রাতে এবং পুরো টুর্নামেন্টে যা করেছেন তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আদর্শ হয়ে থাকবে।’

তাদেরকে আবার পর্তুগালের জার্সিতে দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পর্তুগালের ম্যানেজার বলেছেন, ‘না, এখনো এসব নিয়ে কথা হয়নি। এটা আদর্শ সময়ও নয়। আমরা এখনো হার নিয়ে ভাবছি। এই মুহূর্তে কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়নি।’

রোনালদো শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন। কিন্তু পাঁচ ম্যাচ খেলে কোনো গোল পাননি। গ্রুপ পর্বে গোলশূন্য থাকার পর মনে হয়েছিল প্রি কোয়ার্টার কিংবা কোয়ার্টারে গোলের দেখা পাবেন সিআর সেভেন। কিন্তু পর্তুগালের সুপারস্টার নিস্প্রভ থাকেন দুই নক আউট ম্যাচেও। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই ফরোয়ার্ড স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শুটও মিস করেছিলেন। কিন্তু গোলের একাধিক সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। কিন্তু সেসবে গোল পাননি। গোলমুখে মোট ২৩টি শট নিয়েছেন রোনালদো। কিন্তু একটিও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। যা যেকোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে সর্বোচ্চ।

তবুও ম্যাচের পর ম্যাচ রোনালদোকে কেন সুযোগ দিয়ে গেলেন মার্তিনেজ সেই প্রশ্নের উত্তরে খুব বেশি কিছু বলেননি, ‘সে দলটাকে গুছিয়ে রাখছে। এ মুহূর্তে তার উপস্থিতি আমাদেরকে আত্মবিশ্বাসী করছে।’

এদিকে পর্তুগালের সাবেক ডিফেন্ডার জো ফন্টে বলেছেন, ‘তারা প্রত্যেকেই জানে এটাই শেষ সুযোগ জাতীয় দলে। তাই সর্বোচ্চটা উজার করে দিয়েছে। এখান থেকে ওরা আর কোথায় যাবে?’