ওয়েম্বিলিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ঠিক তিন বছর আগে। ইউরোর সবশেষ আসরে। কিন্তু ঘরের মাঠে পেনাল্টি মিসে ইউরোর মুকুট জেতা হয়নি থ্রি লায়ন্সদের। ২০২১ ইউরোর শিরোপা জিতে নেয় ইতালি।
তিন বছর পেরিয়ে গেছে সেই হারের ক্ষত মুছতে। এখন ইংল্যান্ড আরেকটি ইউরোর ফাইনালে। জার্মানিতে রোববার রাতে ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ স্পেন। এবার কি ইংল্যান্ড প্রথমবার ইউরোর খেতাব জিতবে? অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোববার রাত পর্যন্ত।
এবারের ফাইনালকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইংল্যান্ড। এরই মধ্যে জার্মানিতে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ডের বিপুল সমর্থকরা। ইংল্যান্ডের প্রায় সব জায়গাতেই বসবে জায়ান্ট স্ক্রিন। গুরুত্বপূর্ণ সেসব জায়গায় ভক্ত, সমর্থকরা জড়ো হবেন একসঙ্গে খেলা উপভোগ করতে। উৎসবের এই আমেজে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেবেন। তাইতো তাদের স্কুল পরদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় রাত আটটায় খেলা শুরু হবে। খেলা নির্ধারিত সময়ে শেষ হলে রাত ১০টার কাছাকাছি যাবে। যদি ম্যাচ অতিরিক্ত সময় এবং পেনাল্টিতে গড়ায় তাহলে আরও ঘণ্টাখানেক সময় নেবে। তাতে ফুটবলপ্রেমীদের জেগে থাকতে হবে গভীর রাত পর্যন্ত। আর ইংল্যান্ড শিরোপা জিতে গেলে উৎসব, উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়বে গোটা শহরে। যা স্কুলের শিক্ষার্থীদের রাতের ঘুমকে ব্যাহত করবে। তারা যেন বাড়তি সময় ঘুমাতে পারে এবং সতেজ থাকে এজন্য বেশ কয়েকটি স্কুল পরদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হার্টফোর্ডশিয়েরের উডল্যান্ডস প্রাইমারি স্কুল বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এভাবে, ‘যেহেতু ইংল্যান্ড দল ইউরোর ফাইনাল খেলছে, আমরা জানতে পেরেছি বেশ কিছু শিক্ষার্থী ম্যাচটা উপভোগ করবে এবং তারা দেরি করে ঘুমাতে যাবে। এজন্য আমরা স্কুলের সময় পিছিয়ে দিয়েছি। তারা সোমবার ৯.২৫ মিনিটের ভেতরে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে।’
এছাড়া সেন্ট চার্লস রোমান ক্যাথলিক প্রাইমারি স্কুল জানিয়েছে, সোমবার সকাল ১০টা ৩০মিনিট পর্যন্ত স্কুলে প্রবেশ করতে দিবে। বাকিংহামশায়ার ওয়েস্ট উইকম্ব স্কুল জানিয়েছে, সকাল ৮টা ৩০ থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যেকোনো সময়ে স্কুলে আসা যাবে। এছাড়া নর্থ ইস্টের বেশ কয়েকটি স্কুল একই সময়ে শিক্ষার্থীদের আসতে অনুমতি দিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে স্কুল পিছিয়ে দেওয়ার কোনো নোটিশ দেয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত উদ্যোগেই শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ডেইলি মেইল, গতকাল এক প্রতিবেদনে বলেছে ইংল্যান্ড ইউরো জিততে পারলে একদিনের সাধারণ ছুটি দিতে পারে সরকার। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পরদিন পুরো দিনই পাবে উৎসবে মেতে থাকতে।