কিছুটা অদ্ভুত, অধিকাংশ চোখ ধাঁধানো, কিছুটা ভেজা আর পুরোপুরি স্মরণীয় একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে অলিম্পিক গেমস-২০২৪। ইতিহাস গড়ে এবারই প্রথম কোনো স্টেডিয়ামের বাইরে নদীতে হলো অলিম্পিকের উদ্বোধনী।
শুক্রবার সিটি অব লাভ খ্যাত প্যারিস পরিণত হয়েছিল নানারঙের আলোর শহরে, নানারঙের পশমের শহরে, বৃষ্টির ফোঁটার ছন্দের শহরে। তবে সিন নদীতে ৮৫টি প্রমোদতরীতে ৬ হাজার ৮০০ অ্যাথলিটের নৌপ্যারেডসহ ৪ ঘণ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জিনেদিন জিদানের হাতে মশাল তুলে দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে তিন শিশু-কিশোর সেটা বহন করে নিয়ে যান সিন নদীতে। সেখান থেকে একজন অদ্ভুত পারফরমার সেটা নিয়ে লম্বা সময় সিন নদীর দুই তীরের বাড়ি-ঘর, ছাদ, আকাশ, ল্যুভর মিউজিয়াম, পরিভ্রমণ করেন অদ্ভুত ঢংয়ে।
এরপর বিশ্বকাপ জয়ী জিদানের হাতে সেটা ফেরত দেওয়া হয় এবং তিনি সেটা বহন করে নিয়ে যান ট্রোকাডেরোতে। সেটা দিয়ে হট এয়ার বেলুনে প্যারিস অলিম্পিকের মশাল প্রজ্বলন করেন ফরাসি জুডো গ্রেট টেডি রাইনার এবং স্প্রিন্টার ম্যারি-হোসে পেরেক। তারপর প্যারিসের আকাশে সেটি ওড়ানো হয়।
এ সময় সিন নদীতে চলতে থাকে ২০৫টি দেশের অলিম্পিক কমিটির ডেলিগেশন ও অ্যাথলেটদের নৌ প্যারেড। তার পাশাপাশি চলতে থাকে গান, নাচ ও নানা শো। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় স্পেনের ইতিহাস, ঐহিত্য, শিল্পকলা, ক্রীড়া ও নানাদিক।
১২টি সেগমেন্টে ২ হাজার আর্টিস্ট পারফর্ম করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। আর সিন নদীর দুই তীরে বসে সেটা উপভোগ করেন ৩ লাখ ২০ হাজার দর্শক। এছাড়া প্রতিটি ভবনের ছাদ থেকে, জানালা দিয়ে উপভোগ করেন অনেকে। আর বিশ্বব্যাপী মিলিয়ন মিলিয়ন দর্শক দেখেন প্যারিস অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধনী।
২৬ জুলাই থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত প্যারিস অলিম্পিকে ৩২টি ক্রীড়ার মোট ৩২৯টি ইভেন্টে ১০ হাজার ৭১৪ জন অ্যাথলিট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।