খেলাধুলা

বৃষ্টি বাধায় ত্রিনিদাদ টেস্ট, জয় দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা

ত্রিনিদাদ টেস্টে জয় দেখছে সফরকারীরা দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টি বাধায় কপাল পুড়তে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে এগিয়ে আছে প্রোটিয়ারা। পঞ্চম দিনেও থাকছে বৃষ্টির শঙ্কা। ফলে খেলা আর মাঠে না গড়ালে বড় ব্যবধানে জিতবে টেম্বা বাভূমার দল।

ম্যাচের তৃতীয় দিনেও বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে ভালো অবস্থানে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ উইকেটে তাদের রান ছিল ১৪৫। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে খেলতে নামা ক্যারিবীয়রা চতুর্থ দিনেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।   চতুর্থ দিনে বৃষ্টির কারণে কাল খেলা হয়েছে মাত্র ৩০ ওভার। সময়ের হিসেবে ২ ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যেই ব্যাটিং ধস নামে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দলের। তারা গুটিয়ে গেছে ২৩৩ রানে। প্রথম ইনিংসে ১২৪ রানের লিড পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ ওভারে তুলেছে বিনা উইকেটে ৩০ রান।

এর আগে ত্রিনিদাদে প্রথম দিনে শেষে চারশর স্বপ্ন দেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ উইকেটে ৩৪৪ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল তারা। তবে দ্বিতীয় দিনে বেশি দূর এগোতে পারেনি। আর ১৩ রান যোগ করতেই হারিয়েছে বাকি ২ উইকেট। উইন্ডিজের হয়ে জোমেল ওয়ারিকান ৪ ও জেডন সিলস ৩ উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ক্যারিবীয়রা। দুই ওপেনার। ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও মিকাইল লুইস মিলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারদের দারুণভাবে মোকাবেলা করছিলেন দুজন। তবে ধরা খান স্পিনে। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লুইস।

এরপর ব্রাথওয়েটের সঙ্গে জুটি গড়েন কেসি কার্টি। দুজন দেখেশুনে খেলে দলকে শতরানের ঘর পার করেন। তবে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ব্রাথওয়েট। ১১৪ রানের মাথায় ভাঙে এ জুটি। ব্রাথওয়েট করেন ৩৫ রান। এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ৪২ রান করে ফিরে যান কেসি কার্টি।

দলীয় ১২৪ রানে ফিরে যান আলিক আথানজেও (৩)। বাকি পথটায় আর কোনো বিপদ হতে দেননি কাভেম হজ (১১*) ও জেসন হোল্ডার (১৩*)। নিরাপদে দিন শেষ করেন তারা। তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। 

ইনিংসের একপর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৭৩। সেখানে শেষ ৬০ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় তারা। মহারাজ নেন ৪ উইকেট, রাবাদা ৩টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে) দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৫৭ ও ৫ ওভারে ৩০/০। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৯১.৫ ওভারে ২৩৩ (কার্টি ৪২, লুইস ৩৫, ব্রাফেট ৩৫; মহারাজ ৪/৭৬)