খেলাধুলা

সাকিব কখনোই অমানবিক কাজে লিপ্ত হবে না, বিশ্বাস মুশফিকের

খুনের মামলার আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সাংসদ সাকিব আল হাসানকে। যে খুনের মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে সেই সময়ে সাকিব দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি লিগ মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি খেলে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলছিলেন তিনি।

কোটা আন্দোলন ও পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূত্র ধরে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পুরো সময়টা দেশের বাইরেই ছিলেন সাকিব। সেখান থেকে পাকিস্তানে গিয়ে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অনুশীলন এবং ম‌্যাচ খেলছেন। ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাকিবকে আসামি করা হয়। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে এ মামলায় সাকিবসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ফেসবুক পেজে সাকিবের বিরুদ্ধে মামলাটিকে মিথ্যা অভিযোগ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘সাকিবকে বাঁ’হাতি স্পিনার হিসেবে সর্বাধিক উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়ার জন্য অভিনন্দন। আমি অনেকবার বলেছি এবং আবার বলছি যে, সাকিবের মতো একজন চ্যাম্পিয়নের সাথে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। একজন টিমমেট এবং ভাই হিসেবে, আমি সাকিবের কঠিন সময়গুলোর সঙ্গী এবং আমি তার বিরুদ্ধে তোলা মিথ্যা অভিযোগের সমর্থন করি না। কারণ, আমি জানি সে কখনোই অমানবিক কাজে লিপ্ত হবে না। আমরা সবসময় তোমার পাশে আছি, বন্ধু।’

এর আগে এনামুল হক বিজয় লিখেছিলেন, ‘সাকিব ভাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আপনার অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ব মানচিত্রে আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। আপনার সাথে আমরা সবাই আছি। ইনশাআল্লাহ এই আঁধার কেটে যাবে। খুব জোর গলায় বলছি আপনি নির্দোষ। আল্লাহ আপনার ভালো করুক।’

মুমিনুল হকও প্রায় একই রকম পোস্ট করেছিলেন, ‘গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলায় দায়ে অভিযুক্ত সাকিব ভাই তখন কানাডায় খেলছিলেন। দেশেও ছিলেন না লম্বা সময়। সাকিব ভাইয়ের নামে এমন মামলা অপ্রত্যাশিত। এমন ঘটনা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। যে ছাত্র-জনতার রক্তে নতুন বাংলাদেশ দেখলাম, সেই বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা করে হয়রানি অপ্রত্যাশিত।’

আইনের দৃষ্টিতে সাকিব এখন খুনের আসামি। সাকিবকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফেরাতে বিসিবিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের পর সাকিবকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বোর্ডে। টেস্ট জয়ের পর একদিন কেটে গেলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ফারুক আহমেদের বোর্ড।