রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট দেড় ফুট করে খুলে সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন কর্ণফুলী পানি বিদুৎকেন্দ্রর ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
কর্ণফুলী পানি বিদুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু, হ্রদে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট পানি আছে, তাই বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। পানি ছাড়া হলেও ভাটি অঞ্চলের কোনো ক্ষতি হবে না।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র জানায়, হ্রদে বর্তমানে ১০৮.৬০ ফুট মিনস সী লেভেল পানি রয়েছে। পানি থাকায় বর্তমানে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট বিকেল ৩টায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি জরুরি নোটিশের মাধ্যমে পানি ছাড়ার বিষয়টি জানানো হয়। সেদিন রাত ১০টায় পানি ছাড়ার কথা থাকলেও পরে সময় পরিবর্তন করে ২৫ আগস্ট সকাল ৮টা ১০মিনিট থেকে পানি ছাড়া শুরু হয়। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে আগেই জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী প্রায় ১৮ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছেন। জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি উপজেলাসহ রাঙামাটি সদরের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
রাঙামাটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন বলেন, তার ওয়ার্ডের শান্তিনগর, রসুলপুর, সৈয়দনগর এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দি। এই ওয়ার্ডের ৩৪২ পরিবারকে ১০ কেজি করে খাদ্যশস্য দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, আমরা এখনো পানিবন্দি আছি। আগের চেয়ে পানি ৫-৭ ইঞ্চি কমেছে। এই পানি খুব ধীরগতিতে কমছে। পানি নামতে আরো সময় লাগতে পারে।
বাঘাইছড়ি উপজেলাতে পানি কমতে শুরু করলেও এখনো নানিয়ারচর সদর এলাকার কিছু অংশ এবং বুড়িঘাটের মাছ কম্পানি ও আমতলী এলাকায় পানি রয়েছে। নানিয়ারচরে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরন চলমান রয়েছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোতাছেম বিল্লাহ বলেন, বন্যাকবলিত উপজেলার পানিবন্দি মানুষদের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।