খেলাধুলা

দুই উইকেট হারিয়ে তৃতীয়দিন শেষ করলো পাকিস্তান

:: সংক্ষিপ্ত স্কোর :: পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৯/২ (৩.৪ ওভারে) বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার) পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার)

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে তৃতীয়দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। দুটি উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে আব্দুল্লাহ শফিককে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। এক ওভার পরে ফিরে চতুর্থ বলে বোল্ড কলেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা খুররম শাহজাদকে। এর পরপরই দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ৩.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এগিয়ে আছে ২৭ রানে।

তার আগে ২৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশ লিটন দাসের ১৩৮ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে ২৬২ রানে অলআউট হয়। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে করে ২৭৪ রান।

শুরুতেই পাকিস্তান শিবিরে হাসানের হানা:

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওভারেই তারা আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায়। হাসান মাহমুদের করা পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শফিক। ১০ বল খেলে ২ রান করেন তিনি।

২৬২ রানে অলআউট বাংলাদেশ:

অবশেষে ২৬২ রানে থামলো বাংলাদেশের ইনিংস। পাকিস্তান লিড পেলো ১২ রানের।

২৬ রানেই ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ২৬২ পর্যন্ত যায় লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মেহেদী হাসান মিরাজের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে। লিটন-মিরাজ সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দিয়ে লড়াকু পুঁজির ভিত গড়ে দেন। ১৯১ রানের মাথায় মিরাজ ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৮ রান করে ফিরলেও লিটন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ২২৮ বল খেলে ১৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৮ রান করে আউট হন ২৬২ রানের মাথায়। সেই রানেই নাহিদ রানা এলবিডব্লিউ হলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

বল হাতে পাকিস্তানের পেসার খুররম শাহজাদ ২১ ওভারে ৩ মেডেনসহ ৯০ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নেন। আর মীর হামজা ও সালমান আগা নেন ২টি করে উইকেট।

১৩৮ রানের ইনিংস খেলে ফিরলেন লিটন:

অবশেষে দলীয় ২৬২ রানের মাথায় ফিরলেন লিটন। তার আগে ২২৮ বলে ১৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৮ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে যান। সালমান আগার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে সাইম আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

আড়াই’শ পেরিয়ে বাংলাদেশ:

লিটন দাস ও হাসান মাহমুদের ব্যাটে ভর করে আড়াই’শ রান পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৭৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৫১। লিটন ১৩০ ও হাসান ১০ রানে ব্যাট করছেন। পাকিস্তানের ইনিংসের চেয়ে ২৩ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

৮৩২ দিন পর লিটনের সেঞ্চুরি:

লিটন কুমাস দাসের সবশেষ সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০২২ সালের ২৩ মে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর কেটে গেছে ৮৩২ দিন। অবশেষে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। আজ রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে ১৭১ বল খেলে ১১টি চার ও ২ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। দেশের বাইরে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ২০২১ সালে চট্টগ্রামে পেয়েছিলেন একটি। এছাড়া ২০২২ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছিলেন আরও একটি সেঞ্চুরি।

২০০ রান পেরিয়ে বাংলাদেশ:

বাংলাদেশ সকালে ব্যাট করতে নেমে যখন ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে, তখন কেউ কি ঘুণাক্ষরেও ভেবেছিল সফরকারীদের দলীয় সংগ্রহ ২০০ পেরুবে? কিন্তু সবার ভাবনাকে পাল্টে দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস দাঁড়িয়ে যান দেয়াল হয়ে। সপ্তম উইকেটে তারা দুজন ১৬৫ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ১৯১ পর্যন্ত। এরপর তাসকিন আহমেদ দ্রুতই বিদায় নিলেও হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহকে টানছেন লিটন। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০০ রান পেরিয়ে গেছে। ৬১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০৩ রান। লিটন ৯১ ও হাসান ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

অষ্টম উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ:

মেহেদী হাসার মিরাজ ফেরার ৯ বল পরেই আরও একটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ। দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তাসকিন আহমেদ। খুররম শাহজাদের বলে বাঁক খাওয়ানো ডেলিভারিতে পরাস্ত হয় তাসকিন। বল গিয়ে তার প্যাডে আঘাত হানে। জোরালো আবেদনের মুখে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৫ বল খেলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাসকিন। লিটন দাস ৮৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে আছেন।

১৬৫ রানের জুটি গড়ে ফিরলেন মিরাজ:

ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে লিটন দাসের সঙ্গে মহাকাব্যিক এক জুটি গড়ে অবশেষে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে মিরাজ-লিটন টেনে নেন ১৯১ রান পর্যন্ত। ১৬৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে অবশেষে সাজঘরে ফিরেন মিরাজ। দলীয় ১৯১ রানের মাথায় খুররম শাহজাদের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। ১২৪ বল খেলে ১২টি চার ও ১ ছক্কায় ৭৮ রানের ঝকঝকে ও মহামূল্যবান ইনিংস খেলে যান। এটা ছিল খুররমের পঞ্চম উইকেট। ১৪ ওভারে ৭৩ রানে তার পকেটে যায় ফাইফার।

লিটন-মিরাজের জুটিতে দেড়শ মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটনের জুটি পার করেছে দেড়শ রান। এই জুটির কল্যাণে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছে বাংলাদেশ। লিটন-মিরাজের এই জুটি পঞ্চাশ বা তার কম রান থেকে দেড়শ পৌছানো অবধি সর্বোচ্চ রানের জুটি।

এখন পর্যন্ত মিরাজ-লিটনের জুটির সংগ্রহ ১৬২ রান। টেস্ট ক্রিকেটে পঞ্চাশের আগে ৬ উইকেট হারানোর পর এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।

২০০৬ সালে করাচি টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১১৫ রানের জুটি গড়েছিলেন পাকিস্তানের আব্দুর রাজ্জাক ও কামরান আকমল।

৪৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। লিটন ১২০ বলে ৮০ ও মিরাজ ১১৬ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত।

রেকর্ডের পাতায় মিরাজ প্রথম ইনিংসে ফিফটি করার পর একটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন মিরাজ। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলা বিশ্বের চতুর্থ ব্যাটসম্যান তিনি। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন তিনজন। তারা হলেন- ইংল্যান্ডের চার্লি অ্যাবসলোম, পাকিস্তানের মইন আলি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জশুয়া ডা সিলভা।

এছাড়া ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার একই টেস্টে ফিফটি ও ৫ উইকেট নিলেন মিরাজ। এইজায়গায় মিরাজের উপরে আছেন সাকিব আল হাসান। তিনি এই কীর্তি গড়েছেন আটবার।

মিরাজের টানা তৃতীয় ফিফটি টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। ৯ চারে ৮১ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম পঞ্চাশ করেন মিরাজ। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮১ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

লিটনের ফিফটি, মিরাজের সঙ্গে শতরানের জুটি লিটন ও মিরাজ যখন ক্রিজে আসেন, দলের অবস্থা যাচ্ছে তাই। ৩৪ রানে নেই ৬ উইকেট। ফলোঅন এড়াতে তখনো দরকার ছিল ১২৫ রান। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের জুটিতে সেটা সফলভাবে পার করে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে দুজনে মিলে ১০৪ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন।

ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। ৮২ বলে ৮টি চারের মারে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। অন্যপ্রান্তে ফিফটির অপেক্ষায় আছেন মিরাজ।

রেকর্ডের পাতায় মিরাজ-লিটন রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছেন মিরাজ ও লিটন। সর্বনিম্ন রানে ৬ উইকেট পড়ার পর শতরানের জুটিতে পৌছানো দ্বিতীয় স্থানে আছেন দুই বাংলাদেশী ব্যাটার। ২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর শতরানের জুটিতে পৌঁছেছেন মিরাজ-লিটন।

এই তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটার ক্রুমা বোনার ও জশুয়া ডি সিলভা। দুজন  ২০২১-২২ মৌসুমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফল টেস্টে ১৬ রানে ৬ উইকেট থেকে শতরানের জুটি স্পর্শ করেছিলেন।

এদিকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার এমন রেকর্ড হলো , যেখানে পঞ্চাশ বা এর কম রানে ৬ উইকেট পড়ার পর কোনো জুটি শতরান স্পর্শ করেছে।

লিটন-মিরাজের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর প্রথম সেশনের বাকিটা সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। এই দুজনের ব্যাটে বাকিটা সময়ে আর কোনো বিপদ হয়নি বাংলাদেশের। নিশ্চিন্তে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে নাজমুল হোসেনের দল।

লিটন ও মিরাজ অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি গড়েছেন। মিরাজ ৩৩ রানে ও লিটন ১৩ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৪ ওভার, ৬৫ রান তুলতে বাংলাদেশের উইকেট গেছে ৬টি।

মিরাজ-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের মান রক্ষা ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে মান রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশের। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা কেটেছে। সেই সঙ্গে দুজন মিলে দলের রান পঞ্চাশ পার করেছেন।

সর্বনিম্ন রানের হুমকি শুধু ফলো অনই নয়, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের হুমকিও পাচ্ছে বাংলাদেশ। টেস্টে কোনো ইনিংসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৪৩। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পঞ্চাশের আফে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ কি পারবে সেটা পার করতে? 

চোখ রাঙাচ্ছে ফলো অন তৃতীয় দিন সকালেই বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে ফলোঅন। খুররম শেহজাদ ও মীর হামজার তােপে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কায় কাঁপছে বাংলাদেশ। ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭৫ রান।

পাকিস্তানি বোলিং তোপে এলোমেলো বাংলাদেশ তৃতীয় দিন সকালেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য যমের মতো দেখা দিলেন খুররম শেহজাদ। একে একে তুলে নিলেন তিন উইকেট। এই পাকিস্তানি পেসারের তোপে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের পথ ধরে ফিরে গেছেন মুমিনুল হকও।

২০ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। এক সাদমান বাদে আর কেউ দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেননি। খুররম ৩ ও মির হামজা নিয়েছেন ১ উইকেট।

ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।

সাদমানকেও ফেরালেন খুররম তৃতীয় দিন সকালেই দুই ওপেনারকে হারালো বাংলাদেশ। জাকির হাসানের বিদায়ের পর বিদায় নিলেন সাদমান ইসলাম। দুইজনের উইকেটই পেয়েছেন খুররম শেহজাদ। খুররমের ব্যাক অব লেংথের বলটা সুইং করেছিল দারুণ। সাদমান অনসাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বসেন। বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে লেগ স্টাম্পে।

২৩ বলে ১ চারে ১০ রান করেন সাদমান। ক্তিজে নতুন ব্যাটার মুমিনুল হক।

শুরুতেই বিদায় নিলেন জাকির হাসান তৃতীয় দিনের শুরুতেই বিদায় নিলেন জাকির হাসান। খুররম শেহজাদকে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেট আবরার আহমেদের হাতে বন্দি হন এই ওপেনার। বাংলাদেশ হারালো তাদের প্রথম উইকেট। ১৬ বলে ১ রান করেন জাকির। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাংলাদেশের লক্ষ্য লিড রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তৃতীয় দিন সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে পাকিস্তানকে তিনশর আগে গুটিয়ে দেওয়ার পর এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য সেটা পেরিয়ে লিড নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। সেই উদ্দেশ্যে আজ ব্যাট হাতে নামবেন আগের দিন অপরাজিত থাকা দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান।