খেলাধুলা

মিরাজ জাদুতে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের দিন

:: সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে) :: বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০/০ (২ ওভার) পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার)

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বোলারদের দাপটে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নামবেন সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশী পেসারদের তোপে পড়ে পাকিস্তান। শুরুতেই বিদায় নেন আবদুল্লাহ শফিক। এরপর দারণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক শান মাসুদ ও অন্য ওপেনার সাইম আইয়ুব। দুজন মিলে প্রথম সেশন নিজেদের করে নেন। তুলে নেন ফিফটি। তবে দ্বিতীয় সেশনে দাপট দেখায় বাংলাদেশ।

প্রথমে ৬৯ বলে ৫৭ রান করা মাসুদকে বিদায় করেন মিরাজ। এরপর ১০০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করা সাইমকেও ফেরান এই স্পিনার। এরপরই ধ্বস নামে পাকিস্তানের ইনিংসে। এক সালমান আগা বাদে আর কেউ ফিফটির ঘর ছুঁতে পারেননি। ৯৫ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলা সালমানকে ফেরান তাসকিন।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম ফাইফার। এছাড়াও ১৪ মাস পর টেস্টে দিরে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও সাকিব আল হাসান।

মিরাজ জাদুতে ২৭৪ রানে থামলো পাকিস্তান প্রথম টেস্টের পুনরাবৃত্তি দ্বিতীয় টেস্টেও ফিরিয়ে আনলো বাংলাদেশ। মিরাজ জাদুতে প্রথম ইনিংসে তিনশর আগে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান। টানা দুই বলে পাকিস্তানের শেষ দুই উইকেট নিলো বাংলাদেশ। তাসকিন-মিরাজ নিলে ভাগাভাগি করলেন শেষ দুই উইকেট। তাতেই পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অলআউট ২৭৪ রানে।

পাকিস্তানের শেষ উইকেটটি মিরাজের পঞ্চম। ৬১ রানে ৫ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের ডানহাতি অফ স্পিনার। মিরাজ এ নিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন দশবার।

সালমানকে ফেরালেন তাসকিন অবশেষে ফিরলেন সালমান আলী। এক বার ফিল্ডারের মিস, আরেকবার বাংলাদেশের রিভিউ না থাকায় বেঁচে যাওয়া সালমান দ্রুত রান তোলার তাড়ায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তবে তাসকিনের বল স্কয়ার লেগ দিয়ে পার করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে সাকিবের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়েছেন তিনি (৯৫ বলে ৫৪ রান)। পাকিস্তানের রান ৯ উইকেটে ২৭৪।

মোহাম্মদ আলীর বিদায়ে মিরাজের চারে চার রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে ঝলক দেখিয়ে যাচ্ছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণিতে দিশেহারা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। আগের ওভারে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেও মোহাম্মদ আলী বেশি ক্ষণ টিকলেন না। মিরাজের বলেই স্লিপে সাদমান ইসলামের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নিতে হলো তাকে।

পাকিস্তান হারালো তাদের অষ্টম উইকেট। এ মধ্যে একাই অর্ধেক দখল করেছেন মিরাজ। প্রথম টেস্টের পর এই টেস্টেও তার সামনে উঁকি দিচ্ছে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সুযোগ। পাকিস্তানের রান ৮ উইকেটে ২৪৬। ৩৫ রান নিয়ে একপ্রান্তে টিকে আছেন সালমান।

মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে খুররমের বিদায় প্রথম টেস্টের পুনরাবৃত্তি রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টেও ফিরিয়ে আনলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় দিনে স্পিনের ঝলকে টপাটপ উইকেট তুলে নিচ্ছেন এই স্পিনার। এবার তৃতীয় শিকার হয়ে বিদায় নিলেন খুররম শেহজাদ।

মিরাজের টার্ন নেওয়া বল তুলে মারতে গিয়েছিলেন খুররম। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক মেলাতে পারেননি। বল চলে যায় মিড–অফে দাঁড়িয়ে থাকা সাকিব আল হাসানের হাতে। তাতে সপ্তম উইকেট হারায় পাকিস্তান।

নাহিদ রানার গতিতে পরাস্ত রিজওয়ান শুরু থেকেই গতির ঝড় তুলছিলেন নাহিদ রানা। তবে উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে শেষ বিকেলে তার মুখে হাসি ফুটলো। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বিদায় করে পাকিস্তানের শেষ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন দীর্ঘদেহী এই পেসার।

দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রিজওয়ানকে নাজমুল হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন নাহিদ। দ্বিতীয় টেস্টে এটাই তাঁর প্রথম উইকেট। এই ওভারের আগে তিনি ১১ ওভার বোলিং করে ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

রিজওয়ানের আউটে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ৬ উইকেটে তাদের রান ২১২। আগা সালামানের (১৭) সঙ্গে উইকেটে আছেন খুররম শেহজাদ।

দ্বিতীয় সেশন নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ প্রথম সেশনে উইকেট পড়েছিল মাত্র ১টি। অপরদিকে পাকিস্তানের রান ছাড়িয়ে গিয়েছিল একশর ঘর। তবে দ্বিতীয় সেশনেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বস্তিতে আছে নাজমুল হোসেনের দল। 

দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলাররা এই সেশনে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে উইকেট আদায় করে নিয়েছেন। মিরাজ-সাকিবরা দেখিয়েছেন দাপট। সেই সঙ্গে গতির ঝলক দেখিয়েছেন তাসকিন ও নাহিদ রানারা।

সাকিবে ভাঙলো বাবরের প্রতিরোধ একপ্রান্ত আগলে খেলছিলেন বাবর আজম। সিঙ্গেল ডাবল নিয়ে সেট হয়ে কখনো হাঁকাচ্ছিলেন বাউন্ডারি। মনে হচ্ছিলো বড় ইনিংস খেলেই ফেলবেন। তবে তাকেও বেশিদূর যেতে দিলেন না সাকিব আল হাসান। দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেললেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ককে।

ফ্লাইট ডেলিভারিটা ঝুলিয়ে ছেড়েছিলেন সাকিব। বাবর পেছনে পায়ে খেলতে গিয়েই বিপদটা ডেকে এনেছেন। বল টার্ন করেনি। সোজা গিয়ে আঘাত হেনেছে বাবরের প্যাডে। আউটের আবেদন করতেই আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার। বাবরও রিভিউ নেননি। ৭৭ বলে ৩১ রান করে আউট হলেন বাবর। ক্রিজে রিজওয়ানের নতুন সঙ্গী আগা সালমান।

কাঁধের ব্যথায় মাঠ ছাড়লেন মুশফিক হাসান মাহমুদের করা ডেলিভারিটা স্ট্রেইট করেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আটকানোর জন্য ডাইভ দিয়েছিলেন মিড উইকেটে থাকা মুশফিকুর রহিম। অবশ্য বাউন্ডারি আটকাতে পারেননি মুশফিক। উল্টো ডাইভ দিয়ে বাম কাঁধে ব্যথা পান এই ব্যাটসম্যান। এর কিছুক্ষণ পর দলের ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন।

মিরাজের ক্যাচ মিসের বদলা নিলেন তাসকিন সৌদ শাকিল নিজেকে দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন। শুরুতে সহজ ক্যাচ ছেড়ে তাকে জীবন দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে সেটাকে কাজে লাগাতে পারলেন না পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। সতীর্থের ক্যাচ মিসের বদলে তাসকিন নিলেন শাকিলকে বোল্ড করে। ১৬ রান করে বিদায় নিলেন শাকিল।

মাসুদের পর সাইমকেও ফেরালেন মিরাজ শান মাসুদের পর আরেক সেট ব্যাটসম্যান সাইম আইয়ুবকেও ফেরালেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ফিফটি পেরিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন সাইম। তার জন্যেও ফাঁদ পাতলেন মিরাজ। বলটা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজ। টোপ দেখে লোভ সামলাতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে স্লগ করতে গিয়েছিলেন, বল ব্যাটের পাশ দিয়ে জমা হলো লিটনের গ্লাভসে। বেল দুটি ফেলে বাকি কাজটা সেরে নেন লিটন। 

১০০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করেন সাইম। ক্রিজে বাবর আজমের সঙ্গে আছেন সৌদ শাকিল। 

মাসুদকে বিদায় করলেন মিরাজ শুরুতেই উইকেট পড়ার পর একপ্রান্তে আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন শান মাসুদ। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ফিফটিও তুলে নিয়েছিলেন। তবে সেট হয়েও টিকে থাকতে পারলেন না পাকিস্তান অধিনায়ক। মধ্যাহ্ন বিরতির পর মাসুদকে ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

মিরাজ গুডলেংথের বলটা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। সেটা পিচে পড়ে টার্ন নিয়ে আঘাত করে মাসুদের সামনের প্যাডে। জোরালো আবেদন ওঠে। আম্পায়ারও আঙ্গুল তুলে দেন। রিভিউ নেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তবে তাতে লাভ হয়নি। রিভিউতে দেখা যায়, বল স্টাম্পেই আঘাত করতো। ফলে বিদায় নিতে হয় মাসুদকে।

৬৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন মাসুদ। তার ইনিংসে ছিল কেবল ২টি চারের মার। বাকি রান দৌড়ে নিয়েছিলেন। সেটও হয়ে গিয়েছিলেন। বাকি ছিল বড় ইনিংস খেলা। সেটা হতে না দিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিলেন মিরাজ। 

মাসুদের ফিফটি, বাংলাদেশের হতাশার সেশন প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদ আঘাত করার পর টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছিল সবাই। তবে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের বাকি সময়ে নাজমুল হোসেনদের হতাশা উপহার দিলেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শান মাসুদ ও সাইম আইয়ুব। বিনা উইকেটে দুজন কাটিয়ে দিয়েছেন প্রথম সেশন।

দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে প্রথম সেশন নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৯ রান। মাসুদ ৬২ বলে ৫৩ ও সাইম ৮৩ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত। হাসান, নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ এখন পর্যন্ত ওভারপ্রতি খরচ করেছেন সাড়ে ৪ রানের বেশি।

মাসুদের ফিফটি উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে একপ্রান্ত আগলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ। পাল্টা আক্রমণে মাত্র ৫৪ বলে পঞ্চাশ করলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ৩৫ ম্যাচে তার দশম ফিফটি এটি। মাইলফলক ছুঁতে মাত্র দুটি চার মেরেছেন মাসুদ। দৌড়ে নিয়েছেন সিংহভাগ রান। সেট হয়েছেন দারুণভাবে।

২৩ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৪ রান। মাসুদ ৫০ ও আইয়ুব ৪১ রানে খেলছেন।

সাইম-মাসুদের জুটির পঞ্চাশ, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ। এই জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে পঞ্চাশছোঁয়া জুটি গড়েছেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এদিকে উইকেটের খোঁজে একের পর এক পর বোলার ব্যবহার করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ফলাফল আসছে না।

প্রথম ওভারেই তাসকিনের উইকেট ১৪ মাস পর টেস্টে ফিরেই নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। শুরুতে নতুন বল হাতে পেয়েই ঝলক দেখালেন বাংলাদেশী পেসার। বিদায় করলেন পাকিস্তানি ওপেনার আসাদ শফিককে।

ওভারের প্রথম পাঁচ দারুণভাবে পরীক্ষা নিলেন শফিককে। শেষ বলটি করলেন অফ স্টাম্পের একটু বাইরে ভালো লেন্থে। ইনসুইং করে তা আবদুল্লাহ শফিক ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানলো স্টাম্পে। বাংলাদেশ মাতলো প্রথম উইকেট পতনের উল্লাসে।

বাংলাদেশের এক ও পাকিস্তানের দুই পরিবর্তন দ্বিতীয় টেস্টে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। পেসার শরিফুল ইসলামের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। শরিফুল হালকা চোট পেয়েছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (সহ–অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।

এদিকে পাকিস্তানের একাদশে এসেছে দুই অপরিবর্তন। শাহিন আফ্রিদি এই ম্যাচে থাকছেন না, তা আগেই জানা গিয়েছিল। একাদশে জায়গা হয়নি আরেক পেসার নাসিম শাহেরও। আফ্রিদি ও নাসিমের জায়গায় পাকিস্তান দলে ঢুকেছেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ও বাঁহাতি পেসার মির হামজা।

পাকিস্তান একাদশ: সাইম আইয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক, শান মাসুদ (অধিনায়ক), বাবর আজম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), আগা সালমান, খুররম শেহজাদ, মির হামজা, আবরার আহমেদ ও মোহাম্মদ আলী।