কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই তাকে ঘিরে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। তবে শুরুর কয়েক ম্যাচে সেটা মেটাতে পারেননি ফরাসি তারকা। অবশেষে জ্বলে উঠলেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর পর জ্বলে উঠলো রিয়ালও। লিগ ম্যাচে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে এমবাপ্পের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে তারা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল বেটিস। প্রথম ১০ মিনিটে তিন দফায় তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় বেটিস। তবে গোল পায়নি।। রিয়াল প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ২০তম মিনিটে। রদ্রিগোর কর্নারে এডার মিলিতাওয়ের হেড ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক রুই সিলভা।
চার মিনিট পর এমবাপ্পে আক্রমণ করেন। ফেদেরিকো ভালভার্দের পাস বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফ্রান্স তারকা। বিরতির আগে দুটি ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে। গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণ করে যেতে থাকে রিয়াল। ৫০তম মিনিটে ভিনিসিউসের শটে বল বেটিসের এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। ফিরতি বল ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে উড়িয়ে মারেন এমবাপ্পে।
অবশেষে ৬৭তম মিনিটে ‘ডেডলক’ ভাঙেন এমবাপ্পে। বাঁ দিকে প্রতিপক্ষের দুজনের বাধা এড়িয়ে রদ্রিগো বক্সের বাইরে খুঁজে নেন ভালভার্দেকে। উরুগুয়ের এই ফুটবলারের ব্যাকহিল ফ্লিক পেয়ে ক্ষিপ্রতায় ভেতরে ঢুকে বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন এমবাপ্পে।
গোল পেয়ে উজ্জিবীত হয়ে ওঠে রিয়াল। ৭৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া ভিনিসিউসকে বেটিস গোলরক্ষক ফেলে দিলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে দলকে এগিয়ে নেন ফরাসি তারকা।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে রিয়াল। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে পরের দুটি স্থানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও ভিয়ারিয়াল। একমাত্র দল হিসেবে আসরে প্রথম চার ম্যাচ জয়ী বার্সেলোনা ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।