খেলাধুলা

ডোনাল্ড-গিবসনের অবদানকে সামনে আনলেন তামিম

শেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশের পেসাররা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখেছেন। দেশে ও বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিতিয়ে যাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। পেস বোলিংয়ে বিপ্লব এনে বিশ্ব ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেস ব্রিগেড তৈরি করেছেন। তাদের গড়ে তোলার পেছনে বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশের সাবেক দুই পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন এবং অ্যালান ডোনাল্ডের।

দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন অতীত। কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া কার্যক্রম, দেখানো পথে হেঁটে তাসকিন, শরিফুল, ইবাদত, খালেদরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরছেন। তাদের দেখাদেখি উঠে এসেছেন নাহিদ রানার মতো তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীলন পেসার। যিনি গতির ঝড় তুলে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষে ব্যাটিং লাইনআপকে।

\ওটিস গিবসন ও অ্যালান ডোনাল্ডের বাংলাদেশের অধ্যায়ের শেষটা সুখকর হয়নি। গিবসন যখন পেসারদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গে চুক্তি নতুন করে নবায়ন করেনি বিসিবি। ডোনাল্ড ২০২৩ বিশ্বকাপের পর চাকরি ছেড়ে চলে যান। দুই কোচের বিদায়েই বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়

ভালোমানের দুজন কোচকে হারানোয় তাদের মধ্যে শূন্যতা দেখা যায়। সেসব ফেলে মাঠে পারফর্ম করলেও নিজেদের পারফরম্যান্সের কারণে গিবসন ও ডোনাল্ডের অবদানকে বারবার মনে করান তারা। এবার তাদের অবদানকে সামনে আনলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামিম বলেছেন, ‘এটা (রাওয়ালপিন্ডি) এমন একটা উইকেট ছিল, যেখানে আগে অনেক রান উঠেছে, পাকিস্তান পেসাররা যতটুকু সুবিধা আদায় করতে পেরেছে, তার চেয়ে বাংলাদেশের পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়েছে। এটা নিয়ে পেসারদের গর্ব করা উচিত। যারা আগে কোচ ছিলেন, তাদের কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। এই পেস বোলিং ইউনিটকে এত দূরে নিয়ে আসতে অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসন কঠোর পরিশ্রম করেছেন।’

সিরিজে শরিফুল, হাসান, নাহিদ ও তাসকিন মিলে ১৪ উইকেট পেয়েছেন। যা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের পেসারদের সর্বোচ্চ সাফল্য। পেসারদের প্রশংসা করে তামিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের জন্য এটা অনেক বড় কিছু। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বলে আসছি, পেসাররা ভালো করছে। তাসকিন উইকেট পায়নি, তবে ওর কিন্তু লাইন–লেংথ নিখুঁত ছিল।’

‘প্রথম টেস্টের পর আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না, নাহিদ রানা খেলবে কি খেলবে না। শরিফুল চোটে না পড়লে হয়তো আমরা দ্বিতীয় টেস্টে নাহিদ রানাকে দেখতে পেতাম না। ওর নির্ভেজাল গতি পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলেছে। অন্যদিকে হাসান নিজের সীমাবদ্ধতা জানত। ও অন্য কিছু চেষ্টা করেনি, লাইন টু লাইন বোলিং করেছে, তাতে ফলও পেয়েছে।’- আরও যোগ করেন তামিম।