খেলাধুলা

সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার: তামিম

বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল অবশ্য খেলার মধ্যে নেই। বাংলাদেশের ভারত সফরে তাকে দেখা গেছে ভিন্ন দায়িত্বে। তিনি কমবক্সে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। এ সময় ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম তার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আজ বুধবার (০৯ অক্টোবর) তার একটি নাতিদীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে স্পোর্টস্টার। সেখানে সাকিব আল হাসান সম্পর্কে তাকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি সাকিবকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার বলে উল্লেখ করেন।

সাকিবের সঙ্গে তার খারাপ সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তামিম বলেন, ‘আসলে মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কগুলোর উত্থান-পতন ঘটে। তবে এক্ষেত্রে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আপনারা যেন একে অপরের ক্ষতি না করেন। কারণ, আপনারা দুজনই দেশের জন্য খেলেন। আমি তাকে কিংবা অন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে মিডিয়া কিংবা প্রকাশ্যে কোথাও কথা বলিনি। যাইহোক, আমি বিশ্বাস করি সাকিব বাংলাদেশের জন্য যা কিছু করেছেন সেটা সত্যিকার অর্থেই উল্লেখযোগ্য কিছু। তার সাথে আপনার ভালো সম্পর্ক থাকুক কিংবা নাই থাকুক, এই বিষয়টি আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার।’

সাকিবের অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে তামিমকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আপনি কি মনে করেন অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময় ছিল সাকিবের? জবাবে তাামিম বলেন, ‘মিডিয়ায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ তার অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে অনেক আলোচনা করেছে। অনেক কথা বলেছে। অধিনায়ক, কোচ অথবা বোর্ড- সবাই এটা নিয়ে তাদের নিজস্ব মতামতা প্রকাশ করেছে। যাইহোক, আপনার যদি কখনো মনে হয় যে, এটাই অবসর নেওয়ার সঠিক সময়, আপনার অবসর নেওয়া উচিত। সে যদি ভেতর থেকে সত্যিই অবসর নেওয়ার বিষয়টি অনুভব করে থাকে, তাহলে আমি বলবো নিঃসন্দেহে সে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিয়েছে এবং আমাদের উচিত তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করা।’

টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি থেকেও সাকিব অবসরে গেলেন। বাংলাদেশে কি এমন প্রতিভাবান কেউ আছে যে তার অভাব পূরণ করতে পারবে? এই প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘আসলে সাকিব কিংবা মুশফিকের মতো খেলোয়াড়ের বিকল্প কেউ হয় না। তাদের অভাব পূরণ করাও সহজ নয়। এটা আসলে রাতারাতি পূরণ করা সম্ভবও নয়। আমরা কিন্তু ১৭ বছর ধরে খেলেছি। সুতরাং সময় তো লাগবেই। বাস্তবতা হলো সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। হয়তো কেউ না কেউ চলে আসবেই ওই স্থানে। আমি বলবো না যে এটা কখনোই পূরণ হবে না। হবে হয়তো। তবে সময় লাগবে।’